ঢাকা: রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধারে পার হয়েছে ২২ ঘণ্টা। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে অন্য উপায়ে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। খননযন্ত্র দিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজ অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তানোর উপজেলার কোয়েল হাট পূর্বপাড়া গ্রামে সাজিদ নামের দুই বছর বয়সী শিশুটি গভীর গর্তে পড়ে যায়। শিশুটি গর্তে পড়ার পর থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত শিশুটির অবস্থান ও শারীরিক অবস্থা জানতে পারেনি উদ্ধারকারীরা।
কূপে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের তত্ত্বাবধানে রাতভর খননযন্ত্র দিয়ে ৪০ ফিট গভীর বড় গর্ত খনন করে পায়ার সার্ভিস। সকাল থেকে সেই গর্ত থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে শিশু সাজিদ যে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে গেছে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিস। তাতেও শিশুটির অবস্থান জানা সম্ভব হয়নি। পরে আবারো শুরু হয়েছে গভীর নলকূপের গর্তের পাশের মাটি সরানোর কাজ। নানা কৌশলে চলছে উদ্ধার তৎপরতা।
উদ্ধারকারীরা বলছেন, নলকূপের গর্তের গভীরতা ১৫০ থেকে ৩০০ ফুট। এর ভেতরে যেকোনো জায়গায় শিশুটি আটকে থাকতে পারে।
উদ্ধার তৎপরতায় ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও মেডিকেল টিম ও স্থানীয় প্রশাসন উপস্থিত রয়েছেন।
বুধবার দুপুর একটার দিকে তানোরের কোয়েলহাট পূর্ব পাড়ার গ্রামের মাঠ দিয়ে মায়ের সঙ্গে হেটে যাচ্ছিলেন। পথে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যায় দুই বছরের শিশু সাজিদ। এরপর প্রথমে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। পরে খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে। এরপর উদ্ধার কাজে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি ইউনিটের সময় পেরিয়েছে ২২ ঘণ্টা।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, শিশুটিকে উদ্ধারে এখনো খননকাজ চলছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার বলেন, পড়ে যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আরও ঘণ্টা দুই তিনেক লাগতে পারে সবকিছু শেষ করতে।