ঢাকা: ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদ ভেঙে গণতন্ত্রের পথে যাচ্ছে বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘টানা ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। এর বিপরীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এবং জনগণের পাশে থেকেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেই দীর্ঘ দমন-পীড়নের অবসান ঘটেছে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।‘
ড. মঈন খান বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিল একটি রাজনৈতিক বিস্ফোরণ, যা ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। সেখানে তরুণরা দেয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফ্যাসিস্ট বিদায় করেছে। এই আন্দোলনই দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের দ্বার খুলে দেয়।‘
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে, যা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।’
আলোচনায় শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের কথা উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কখনো বিভাজনের রাজনীতি করেননি। তিনি স্বাধীনতা, ঐক্য ও মুক্তির রাজনীতি শিখিয়েছেন। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেই আদর্শই সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক।‘
বিএনপির এই নেতা দেশবাসীর প্রতি ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক শক্তিকে বিভেদ ভুলে দেশের কল্যাণে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠলেই দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব।‘
আলোচনা সভায় বিএনপির অন্যান্য নেতারাও বক্তব্য দেন। তারা বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয় দিবসের শিক্ষা হলো জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র রক্ষা করা। বিএনপি সেই লক্ষ্যেই আন্দোলন করেছে এবং ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করে যাবে।’