ঢাকা: আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল ঘোষণা করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনো ভোট হওয়া নিয়ে সংশয় ও উদ্বেগ কাটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, একটি স্বাধীন দেশের জন্য এটি কোনোভাবেই শুভ লক্ষণ নয়।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশ গণতন্ত্র পরিষদ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুস সালাম অভিযোগ করেন, নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আগে থেকে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেওয়া হয়নি। এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন সময়ে দেওয়া ‘বিভ্রান্তিকর’ বক্তব্য জনগণের মধ্যে ভোটের অনিশ্চয়তাকে আরও ঘনীভূত করেছে।
তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনা ছাড়া বিকল্প নেই। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিএনপিই এখন একমাত্র ভরসা।
জাতীয় সংকটে জিয়া পরিবারের অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন, বর্তমানে দেশনায়ক তারেক রহমান সেই নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আন্দোলন এগিয়ে নিচ্ছেন।
গত ১৭ বছর দেশে গণতন্ত্র ছিল না দাবি করে তিনি বলেন, ক্ষমতা নির্ধারণে জনগণের পরিবর্তে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করা হতো। এই অচলাবস্থা ভাঙতেই বিএনপি একটি স্পষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপ দাবি করে আসছিল।
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে আব্দুস সালাম বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের তোষণ করে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বিএনপি শত উসকানির মুখেও শান্তি বজায় রাখছে।
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নতুন বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে, বেকারত্ব বাড়ছে এবং মধ্যবিত্তরা নিম্নবিত্তে পরিণত হচ্ছে। এই সংকট থেকে উত্তরণে আগে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি।
বাংলাদেশ গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি মুক্তার অখন্দের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সহ-স্থানীয় বিষয়ক সম্পাদক শামমী আখতার, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ নুর আফরোজ জ্যোতি, যুগ্ম আহ্বায়ক, জাসাস লিয়াকত আলী।