Tuesday 23 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নীলফামারী-১ আসনে বিএনপির জোট প্রার্থী মঞ্জুরুল, তুহিনকে বাদ দেওয়ায় অসন্তোষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:২৪ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৫

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি। ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারী: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-১ (ডোমার ও ডিমলা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সমর্থিত জোট প্রার্থী হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দির নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন। এতে করে খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে বাদ দেওয়ায় স্থানীয় বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

এর আগে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গণসংযোগ চালিয়ে আসছিলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগনে ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। তবে তাকে প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকাতেও রাখা হয়নি, যা দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

বিজ্ঞাপন

মনোনয়ন ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। নির্বাচিত হলে তিনি দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবেন বলেও আশ্বাস দেন।

অন্যদিকে, নীলফামারী-১ আসনে জোট প্রার্থী দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিনকে প্রার্থী করা না হওয়ায় অনেক নেতাকর্মী সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।

মঙ্গলবার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রতিবাদ ও ক্ষোভের পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। নেতাকর্মীদের দাবি, ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করেছেন এবং তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

তাদের অভিযোগ, স্থানীয় বাস্তবতা ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে জোটের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে দলের সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হতে পারে এবং নির্বাচনি মাঠে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

কিছু নেতাকর্মী আরও দাবি করেছেন, জোট প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দিকে এলাকার সাধারণ মানুষ তেমনভাবে চেনেন না। তারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে স্থানীয় ভোটারদের একাংশ জানান, তারা এবার দল বা মার্কা নয়, ব্যক্তি ও তার স্বচ্ছতা বিবেচনা করে ভোট দিতে চান। দীর্ঘদিন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারার ক্ষোভ থেকে তারা বলেন, সুযোগ পেলে তারা যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেবেন। অনেকেই মত দেন, ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন এমপি হলে এলাকায় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হতো।

উল্লেখ্য, নীলফামারী-১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেন্দ্রীয় কমিটির মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জেলা যুগ্ম সদস্য সচিব রাশেদুজ্জামান রাশেদ।