প্রাণের অফিসে ভ্যাট গোয়েন্দার হানা
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:২৫
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: কর ফাঁকির অভিযোগে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল সেন্টারে দিনভর অভিযান চালিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর মধ্য বাড্ডায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়টি থেকে প্রাণের কর্মকর্তাদের বের করে দিয়ে নথিপত্র তল্লাশি করেন এনবিআর কর্মকর্তারা। রাত ৯টা পর্যন্ত এই অভিযান চলে বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক এ এফ এম আবদুল্লাহ খান।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের রুটিন কাজের অংশ। কর্মকর্তারা তাদের বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে উৎপাদন, বিক্রয় ও রফতানি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।’
প্রাণ-আরএফএলের প্রধান কার্যালয়ে কাজ করেন, এমন কয়েকজন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, সকাল থেকেই এনবিআরে কর্মকর্তারা কার্যালয়টিতে অভিযান চালায়। এনবিআরের কর্মকর্তাদের নির্দেশে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে কোম্পানির সকল কর্মকর্তাদের বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেন স্বয়ং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আহসান চৌধুরী খান।
কয়েকজন বলছেন, মেইল করেও নির্দেশনাটি প্রাণের কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে এনবিআরের কর্মকর্তারা অফিসে তল্লাশি চালায়। এদিন প্রাণের চেয়ারম্যান নিজেও পুলিশ প্রহরায় অফিসে ঢুকেছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রাণের জনসংযোগ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার জেনারেল ম্যানেজার কে এম জিয়াউল হককে একাধিকার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। এসএমএস পাঠিয়েও তার কোনো প্রত্যুত্তর পাওয়া যায়নি।
প্রতিষ্ঠানটিতে শুল্ক গোয়েন্দা কোনো অভিযান চালিয়েছে কি না— এমন প্রশ্নে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার জানামতে শুল্ক গোয়েন্দা এ ধরণের কোনো অভিযান পরিচালনা করছে না। হয়তো ভ্যাট গোয়েন্দা এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করছে।’
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রাণ-আরএফএল কার্যালয় এলাকার এক বাসিন্দা সারাবাংলাকে জানান, প্রাণের প্রধান কার্যালয়ে তখন স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছিল। প্রাণের কিছু কর্মীকে অন্যদিনের মতো ভেতরে ঢুকতে ও বাইরে বের হতে দেখা যায়। এছাড়া কিছু কিছু কর্মী অফিসের সামনে আড্ডাও দিচ্ছিলেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাণের এক কর্মকর্তা রাত ৮টার দিকে সারাবাংলাকে জানান, অফিসটিতে তখনও প্রাণ ও এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলছিল।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর