শাহজাদপুরে আগাম খিরার আবাদে ব্যস্ত চাষিরা
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৯:১৫
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ফসলি অনেক জমিতেই এখনও বন্যার পানি। তবে একটু উঁচু জমিগুলো ফাঁকা পড়ে নেই। সেসব জমিতে আগাম জাতের খিরা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা। ফলন ও দাম ভালো পেলে লাভবান হবেন বলে আশাবাদী তারা। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, পানি নেমে গেলে নিচু জমিগুলোতেও এই ফসলের চাষ ছড়িয়ে পড়বে।
সরেজমিন উপজেলার গাড়াদহ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় একশ বিঘা জমিতে আগাম খিরার চাষ করেছেন চাষিরা। এরই মধ্যে বীজ বপনের কাজ শেষ হয়েছে। অঙ্কুরোদগমের পর সেগুলো এখন পরিণত হয়েছে সবুজ কচি লতায়। এখন জমিতে নিড়ানি দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। বন্যার পানি যেন জমিতে ঢুকতে না পারে, সেজন্য পানি প্রবেশের সম্ভাব্য রাস্তাগুলো মাটির বস্তা দিয়ে বন্ধ করে পালাক্রমে পাহাড়া দিচ্ছেন তারা।
মাঠে ঘুরে ঘুরে পরামর্শ দিতে দেখা গেল ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদেরও। চাষি ও এসব কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণত ৩০ দিনের মধ্যেই খিরার ফলন শুরু হয়। তাই কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না এলে খুব শিগগিরই কৃষকেরা জমি থেকে খিরা সংগ্রহ করে বাজারজাত করতে পারবেন।
কথা হয় গাড়াদহ গ্রামের খিরা চাষি রোশনাই প্রামাণিকের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতিবছরের মতো এ বছরও তিনি তিন বিঘা জমিতে খিরার চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে তার। ফলনের আগ পর্যন্ত খরচ হবে আরও প্রায় ৩০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে এবং কোনো ধরনের দুর্যোগে না পড়লে তিন বিঘা জমি থেকে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।
রোশনাই প্রামাণিকের মতো আরও অনেক চাষিই আগাম জাতের খিরার চাষ করছেন। তবে যাদের জমি নিচু, তারা অপেক্ষা করছেন বন্যার পানি নেমে যাওয়ার। তারা জানালেন, প্রায় প্রতিবছরই কিছু কৃষক আগাম জাতের এবং বাকিরা নিয়মিত জাতের খিরার চাষ করে থাকেন।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনজু আলম সরকার সারাবাংলাকে বলেন, এ বছর প্রায় দুইশ হেক্টর জমিতে খিরা চাষের লমাত্রা ধরা হয়েছে উপজেলায়। এর মধ্যে উঁচু জমিগুলোতে আগাম জাতের খিরার চাষ হচ্ছে। বন্যার পরেও নিচু জমিতে খিরার চাষ হবে।
তিনি জানান, এই ফসলটি দুই মাসের ফসল। বীজ বপনের ৩০ দিনের মধ্যেই খিরা সংগ্রহ শুরু করা যায়। ভালো ফলন ও দাম পেলে চাষিরা লাভবান হবে আশা করছেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/টিআর