ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প ও সুনামিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩২
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:১৩
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
ইন্দোনেশিয়ার সুলাবেসি দ্বীপে ভূমিকম্প ও সুনামিতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা সবশেষ ৮৩২ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়া, গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও অন্তত ৫০০ জন। রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
ইন্দোনেশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট জুসুফ কাল্লা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দুর্যোগে প্রাণহানির সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ভূমিকম্পের পরও আক্রান্ত এলাকায় ১৫০টি ছোট ছোট ভূ-কম্পন বা আফটার শক অনুভূত হয়েছে। পালু শহরের অধিবাসীরা খোলা আকাশের নিচে রাত পার করছেন। এখনই ঘরে ফিরে না যেতে সরকারের তরফ থেকে স্থানীয় অধিবাসীদের অনুরোধ করা হয়।
সেখানে মৃতদেহগুলো রাস্তায় পড়ে আছে। হাসপাতাল ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় আহতদের তাঁবু টানিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভূমিকম্প ও সুনামিতে বেঁচে ফেরা অনেকেই বলছেন, তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের খুঁজে পাচ্ছেন না।
ভূমিকম্পে আটকে পড়াদের উদ্ধারে এখনও অভিযান চলছে। তবে দুর্গম অঞ্চল হওয়ায় ও যোগাযোগ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটছে। পালুর রোয়া রোয়া হোটেলের একটি উদ্ধারকারী দল জানায়, তারা ভেতর থেকে মানুষের চিৎকার শুনছেন। কিন্তু আটকে পড়াদের উদ্ধারের মতো ভারি সরঞ্জাম তাদের কাছে নেই।
শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার সুলাবেসি দ্বীপে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার প্রচণ্ড ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পরই সুনামি সতর্কতা জারি করে কর্তৃপক্ষ। পরে আবারও তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়। সতর্কতা প্রত্যাহারের পরই উপকূলীয় শহর পালুতে ১০ ফুট উচ্চতার সুনামি ঢেউ হামলে পড়ে। শহরটিতে প্রায় ৩ লাখ মানুষের বাস।
আরও পড়ুন : সুনামিতে বিধ্বস্ত ইন্দোনেশিয়া, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পালু শহরের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড শক্তির জলোচ্ছ্বাস প্রবাহিত হওয়ার সময় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার ও ছোটাছুটি করছেন।
বিশ্বের ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া অন্যতম। ২০১৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ভূমিকম্প ও সুনামিতে ২ লক্ষ ২৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
সারাবাংলা/এনএইচ