চলছে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা, পূজা মণ্ডপে সাজ সাজ রব
৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৮:৫৯
।। হৃদয় দেবনাথ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
মৌলভীবাজার: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। আর এই দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই দেবী দুর্গার স্বর্গ থেকে আগমন ঘটেছিলো মর্ত্যলোকে। এরই ধারাহিকতায় হিন্দুধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর শারদীয় উৎসব হিসেবে দুর্গা পূজা উদযাপন করে আসছেন।
আগামী ১৫ অক্টোবর সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গা পূজা। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বিভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জার বর্ণালী বাহারে সাজানো হচ্ছে প্রতিটি পূজামণ্ডপ। হাতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তাই কারিগররাও থেমে নেই। দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন পূজা মণ্ডপের সাজসজ্জার।
সরেজমিনে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি হিসেবে মণ্ডপগুলোতে দুর্গা প্রতিমার মূর্তিতে রঙ-তুলির আঁচড়ের কাজ চলছে বেশ জোরেশোরে। অন্যদিকে চলছে সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল তৈরি ও ডেকোরেশনসহ অন্যান্য কাজ।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার পূজামণ্ডপের প্রতিমা শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইতোমধ্যে অধিকাংশ পূজামণ্ডপের প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। শেষ মুহূর্তে মৃৎ শিল্পীরা তাদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় প্রতিমায় রঙয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ রায় মুন্না সারাবাংলাকে জানান, এবছর মৌলভীবাজার সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মোট ৮৪২টি মণ্ডপে সার্বজনীনভাবে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ব্যক্তিগতভাবে ১৫০টির মতো মণ্ডপে পূজা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এরইমধ্যে দুর্গা পূজার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। আমরা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছি। সুন্দর, সুশৃঙ্খলভাবে যাতে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হয় এই বিষয়ে আমরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।’
শারদীয় দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশসহ আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজর রাখবেন। তাছাড়া পূজামণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থাও থাকবে।’
পূজা মণ্ডপগুলোর রাস্তায় মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেই বিষয়ে প্রশাসনের বিশেষ দৃষ্টি থাকবে, তাছাড়া পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে আশা ভক্তদের সুবিধার জন্য যানবাহন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বিশেষ নজরদারিতে থাকবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
সারাবাংলা/এমও