সরকারহীন শ্রীলংকায় পার্লামেন্টে মন্ত্রীদের ধস্তাধস্তি
১৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:৫৮
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসাকে অভিশংসনের একদিন পর থেকেই চরম বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়েছেন শ্রীলংকার মন্ত্রীরা। পার্লামেন্টে ঘটেছে কিল-ঘুষি, লাথি ও ডাস্টবিন ছোড়ার ঘটনা। খবর আল জাজিরা।
শ্রীলংকার পার্লামেন্টের স্পিকার কারু জয়সুরিয়া বলেন, এই দেশটি বর্তমানে সরকারহীন। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) সরকার ছাড়াই পার্লামেন্ট খোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৪ নভেম্বর) নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছে পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য। ২২৫ সদস্যের আইনসভায় রাজাপাকসার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন ১২২ জন। এতে করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের ক্ষমতা হারিয়েছেন তিনি।
এদিকে, রাজাপাকসা প্রধানমন্ত্রীত্ব হারালেও নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়নি। হারানো প্রধানমন্ত্রীত্ব ফেরত পাননি ২৬ অক্টোবর বরখাস্ত হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ। কেননা, প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার কেবল প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনারই রয়েছে। আর তিনিই গত মাসে বিক্রমসিংহকে বরখাস্ত করে তার জায়গায় রাজাপাকসাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তখন থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে।
জয়সুরিয়া বলেন, দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের শুরু রাজাপাকসা বা বিক্রমসিংহ শুরু করেননি।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে মন্ত্রীরা বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। কেউ কেউ এ সময় নিচে পড়ে গেছেন। তারা প্রতিপক্ষরা লাথির শিকার হয়েছেন।
রাজাপাকসার কোন কোন সমর্থক বিক্রমসিংহের সমর্থকদের লক্ষ্য করে প্লাস্টিকের বোতল ও ডাস্টবিন নিক্ষেপ করেছেন। এমন অবস্থায় আজকের (বৃহস্পতিবার) জন্য পার্লামেন্ট মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার।
এদিকে সিরিসেনা স্পিকারকে পাঠানো এক চিঠিতে লিখেছেন, তিনি রাজাপাকসার বিরুদ্ধে হওয়া অনাস্থা ভোট মেনে নেননি। কেননা স্পিকার এই অনাস্থা ভোট পরিচালনায় সংবিধান, পার্লামেন্টের প্রক্রিয়া ও প্রচলিত প্রথা অগ্রাহ্য করেছেন।
সারাবাংলা/আরএ