Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিজয়ীরা যাতে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ না করে সেজন্য পুলিশ মাঠে’


৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:৩৫

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিজয়ী সমর্থকরা যাতে প্রতিপক্ষের কাউকে কোনো ধরনের আঘাত, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে না পারে সেজন্য পুলিশ সজাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন।

কমিশনার বলেন, ‘গতকাল জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অত্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে নিরাপদে ও সফলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো ছোট ঘটনাও ঘটেনি। এমনকি ধাক্কাধাক্বির ঘটনাও ঘটেনি। কোথাও কাউকে ভয় দেখিয়েছে এমন ঘটনাও শুনিনি। পুলিশ সতর্ক ছিল। যে কারণে অত্যন্ত নিরাপত্তার সাথেই জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। এখন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো নির্বাচন পরবর্তীতে যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে। এরই মধ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন পরবর্তীতে যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা না হয়।’

তিনি বলেন, ‘বিজয় প্রার্থীদের সমর্থকরা বা লোকজন যাতে কারো প্রতি চোখ রাঙাতে না পারে, ভীতি প্রদর্শন করতে না পারে বা কাউকে কোনো ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হুমকি ধামকি, মারপিট করতে না পারে, সেজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ কোনো প্রার্থীর লোক বা সাধারণ ভোটার বা সাধারণ জনগণকে এই নির্বাচনের জয় বিজয়কে কেন্দ্র করে হুমকি ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাহলে সে যেই হোক, তার অবস্থান যাই হোক, তার পদবী যাই হোক, যে দলেরই হোক আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেব।’

বিজ্ঞাপন

কমিশনার বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রয়েছে, যার যার মতের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া, ভোট ক্যাম্পেইন করা, এটি তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু বিজয় হওয়ার পর সেটার প্রতিশোধ নেওয়া যেমন ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ব্যাপক সহিংসতা দেখেছি, ব্যাপক নির্যাতন দেখেছি, তার ন্যূনতম ও ছিটেফোঁটা, কোনো ধরনের সহিংসতা অথবা নির্যাতন অথবা ভীতি প্রদর্শনের মতো কোনো ঘটনা হলে তার বিরুদ্ধে আমরা তাৎক্ষণিভাবে ব্যবস্থা নেব। কোনো অবস্থাতেই জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো ঘটনাকে আমরা প্রশ্রয় দেব না। তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান হবে সুন্দর সহিষ্ণুতা। আজকে যে বিজয় হয়েছে, এটি মনে করব গণতন্ত্রের বিজয়, উন্নয়নের বিজয় এবং এটি আমাদের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে পূরণ করবে।’

নাগরিকদের ব্যক্তি নিরাপত্তা, মালের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের সম্পদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মাঠে থাকবে।

সবশেষে ২০১৯ সালের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে সুখি ও সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশের হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন কমিশনার।

সারাবাংলা/ইউজে/একে

একাদশ জাতীয় নির্বাচন নির্বাচন পরবর্তী সময় পুলিশ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর