রিজার্ভ চুরি: নিউইয়র্কের আদালতে জানুয়ারিতেই মামলা
২০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:৩৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় নিউইয়র্কের আদালতে জানুয়ারি মাসেই মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রোববার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকর গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, সাইবার অপরাধের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার ফেরৎ আনতে চলতি মাসেই নিউইয়র্কের আদালতে মামলা দায়ের করা হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে কার বিরুদ্ধে মামলা হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মামলা করা হবে।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘মামলার জন্য আগামী ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। এ জন্য আমাদের একজন আইনজীবী আর আমারিকার একজন আইনজীবী আছেন। তারা যৌথভাবে বসে মামলার সময় ঠিক করবেন।’
তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটেছে নিউইয়র্কে। তাই মামলা সেখানেই হবে। আমাদের আইনজীবীরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। তবে কার বিরুদ্ধে কে মামলা করবে তার সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। এছাড়া কয়জনকে আসামি, কয়জনকে বাদী ও কয়জনকে সাক্ষী করা হবে তা দুই আইনজীবী বসে ঠিক করবেন পরবর্তী ধাপে।’
ফরাস উদ্দিনের তদন্ত রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে কি না এমন এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের প্রয়োজন হলে করব, না হলে করব না। এছাড়া তদন্তে নেগেটিভ বা পজেটিভ কি আছে আমি কিছু জানি না। ঢাকায় বসে কে কী কমিটি করলো, কে কী রিপোর্ট দিল, তা নিয়ে আলোচনার জন্য এখন সঠিক সময় না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমেরিকার আইনজীবীরা যে আমাদের পক্ষে লড়বে তাদের কমিশন অনেক বেশি। প্রতিটি আইনজীবীর একটি নির্দিষ্ট কমিশন থাকে। তবে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।
সারাবাংলা/এটি/একে