দেবী শেঠির সঙ্গে পরামর্শ করেই সিঙ্গাপুর নেওয়ার সিদ্ধান্ত
৪ মার্চ ২০১৯ ১১:৫২
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এখন তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া যেতে পারে। দুপুরে ভারতের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি পৌঁছানোর পর তার সঙ্গে পরামর্শ করেই সিঙ্গাপুর নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
সোমবার (৪ মার্চ) সারাবাংলাকে এসব তথ্য জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান।
দুপুরে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠি। এছাড়া আজ সকালে দ্বিতীয় দফায় কাদেরের শারিরীক অবস্থা নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে বসেছেন সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক প্রতিনিধি দল।
দুপুর দেড়টায় বিএসএমএমইউতে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের বর্তমান শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানানো হবে।
এর আগে, গতকাল সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের মেডিকেল টিম গতকাল ওবায়দুল কাদেররকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য ঢাকা পৌঁছায়। তবে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নাতি হওয়ায় সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া।
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যার কারণে বিএসএমএমইউয়ে ভর্তি করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে। সেখানে প্রাথমিক ওষুধপত্র দেওয়ার পর তার এনজিওগ্রাম করা হয়। তাতে তার হৃদযন্ত্রের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক চিহ্নিত হয়। এর মধ্যে বাম পাশের প্রধান রক্তনালীর ব্লকটি স্টেন্ট (রিং) পরানোর মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বাকি দুইটি ব্লক অপসারণের জন্য কোনো প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি।
ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এর আগে সন্ধ্যার ব্রিফিংয়ে বিএসএমএমইউ কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ও কাদেরের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক আলী আহসান বলেন, তিনি চোখ খুলছেন, কথা বলছেন, কিন্তু ক্রিটিক্যাল অবস্থাতে আছেন। তিনি পা নাড়ছেন, চেষ্টা করছেন কথা বলার। এ অবস্থা যদি আরও কিছু সময় থাকে, তাহলে মেডিকেল থেরাপি বা বাইপাস সার্জারির মাধ্যমে পরবর্তী চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
আরও পড়ুন-
কাদেরের চিকিৎসায় আসছেন ডা. দেবী শেঠি
ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে আবারও হাসপাতালে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক দল
বিএসএমএমইউ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
সারাবাংলা/পিএম/জেডএফ