Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সম্মতিপত্র পেল নতুন ২ ব্যাংক, অপেক্ষায় ১টি


১০ মার্চ ২০১৯ ১৩:৫৯

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: বেসরকারিখাতে নতুন করে অনুমোদন পাওয়া তিন ব্যাংকের মধ্যে দুইটি ব্যাংককে লাইসেন্সের জন্য প্রাথমিভাবে সম্মতিপত্র (এলওআই বা লেটার অব ইনটেন্ট) দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত সপ্তাহের শেষ দিকে এলওআই পাওয়া ব্যাংক দুইটি হলো বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংক। তবে নতুন আরেকটি ব্যাংক পিপলস ব্যাংককে এখনো এলওআই দেওয়া হয়নি। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আবুল কাসেম এর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আসায় বাংলাদেশ ব্যাংক তা যাচাই-বাছাই করছে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় নতুন তিনটি ব্যাংককে অনুমোদন দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি ওই সভায় সব ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম রোববার (১০ মার্চ) সারাবাংলাকে বলেন, নতুন অনুমোদন পাওয়া তিনটি ব্যাংকের মধ্যে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংককে সম্মতিপত্র (এলওআই) দেওয়া হয়েছে।
এলওআই দেওয়ার পর ব্যাংকগুলোকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে, যেমন লিমিটেড কোম্পানি হয়ে আসতে হবে। ৫০০ কোটি টাকা ডিপোজিট করতে হবে। এ সব শর্ত পূরণ করলে তারা চূড়ান্ত লাইসেন্স পেয়ে যাবে।

পিপলস ব্যাংকের এলওআই না দেওয়া প্রসঙ্গে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আসায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা না পেলে ওই ব্যাংককেও এলওআই দেওয়া হবে।’

এলওআই পাওয়া বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জসীম উদ্দিন। তিনি বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। ব্যাংকটির পরিচালক হিসেবে রয়েছে জসীম উদ্দিনের ভাই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোর্শেদ আলম।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া সিটিজেন ব্যাংকের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মা জাহানারা হক। আর পিপলস ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নাম প্রস্তাব করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা এম এ কাশেম।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর পুলিশের কমিউনিটি ব্যাংককে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার ফলে দেশে বর্তমানে ব্যাংকের সংখ্যা ৫৯। সর্বশেষ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আরও তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ায় দেশে মোট তফসিলী ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াল ৬২টি। এর মধ্যে ৪৪টি বেসরকারি খাতের, ৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও ৯টি বিদেশি মালিকানার ব্যাংক ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

টানা তিন মেয়াদ ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম মেয়াদে ২০০৯ সালে নয়টি নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে সীমান্ত ব্যাংক নামের আরেকটি ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়। এছাড়া গত জুলাইয়ে বিশেষায়িত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে বাণিজ্যিক লেনদেনের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন ব্যাংকগুলোর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকের অবস্থা খুবই নাজুক।

সারাবাংলা/জিএস/একে

আরও পড়ুন

নতুন তিন ব্যাংক অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা ডেকে আনতে পারে
নতুন ব্যাংকের অনুমোদনে অসন্তুষ্ট অর্থমন্ত্রী
নতুন যে কোনো ব্যাংকের অনুমোদন অযৌক্তিক
তিন ব্যাংকের অনুমোদন কীভাবে জানেন না অর্থমন্ত্রী

নতুন ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মতিপত্র

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর