ফের ডাকসু নির্বাচন সম্ভব নয়: ভিসি
১৩ মার্চ ২০১৯ ১৮:১১
।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন ফের সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে উপাচার্য কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ভিসি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন সফল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে চারশ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর শ্রম-সময় ও মেধার যে খরচ হয়েছে তার প্রতি অসম্মান জানাতে পারি না। তাদের শ্রমকে অসম্মান করার এখতিয়ার আমার নেই।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা মেনে নেবে না।’
গত ১১ মার্চ ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটের দিন ছাত্রলীগ ছাড়া সব প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে।
ওইদিন রাতে ভোট গণনা শেষে জানানো হয়, ডাকসুর ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুর। এ নির্বাচনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন পরাজিত হয়েছেন। তবে ডাকসুর জিএস হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
ফল ঘোষণার পরদিন ভিসির বাসভবনের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। পরে ভিপি নুরুল হককে কোলাকুলির মাধ্যমে বরণ করে নেয় ছাত্রলীগ। এদিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাকি পাঁচ প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা ফের নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।
ডাকসুর নতুন ভিপি নুরুল হক নূরও ভিপি পদ ছাড়া বাকি পদগুলোয় ফের নির্বাচন চেয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সঙ্গে নুরুল হক নুরসহ পাঁচটি প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা দেখা করেন। তারা এ সময় উপাচার্যকে তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো শনিবারের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন বাতিল করা, নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে বাদ দিয়ে সৎ ও নিরপেক্ষ শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়া। এছাড়া আগামী তিনদিনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করা।
ডাকসুর নতুন ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমি ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি হিসেবে বলছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন পুনরায় দিতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিজয়ের ইতিহাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা অন্যায়-অনিয়মকে মেনে নিতে পারে না।’
নুরুল হক নুর আরও বলেন, ‘১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কলঙ্কজনক ইতিহাস রচিত হয়েছে। নির্বাচনে সারাদেশের মানুষ হতাশ হয়েছে। এই ন্যাক্কারজনক নির্বাচনের সহযোগী ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা কখনো এই দায় এড়াতে পারে না। তারা বিভিন্ন অপকৌশলের পরেও আমাকে ও আখতারকে হারাতে পারেনি কিন্তু অন্যদের সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।’
এরপর পাঁচটি প্যানেলের প্রতিনিধিরা উপাচার্যের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দেন।
সারাবাংলা/কেকে/একে