দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজের ১৮ যাত্রী আজ ভোরে ঢাকায় ফিরতে পারে
৯ মে ২০১৯ ০১:৫৫
ঢাকা: মিয়ানমারের ইয়াংগুন বিমানবন্দরে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়া বাংলাদেশ বিমানের (বিজি ০৬০) ১৮ যাত্রী বিশেষ উড়োজাহাজে করে ভোরে ঢাকায় পৌঁছতে পারে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভোর ৬টায় উড়োজাহাজটির ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। বুধবার (৮ মে) দুর্ঘটনার পর ইয়াংগুন বিমানবন্দরে আটকা পড়া যাত্রীদের আনতে সেখানে গিয়েছিল উড়োজাহাজটি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- ইয়াংগুনের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ল বাংলাদেশের বিমান
বুধবার (৮ মে) রাতে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ সারাবাংলাকে জানান, রাত ১১টা ২৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের বিশেষ ওই ফ্লাইটটি ইয়াংগুনের পথে রওনা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত ফ্লাইটের পাইলট, ক্রু ও যাত্রীদের যারা দেশে ফিরে আসতে চান, তাদের এই উড়োজাহাজে করেই নিয়ে আসা হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের (বিজি-০৬০) একটি উড়োজাহাজ (ড্যাশ-৮) অবতরণের সময় ইয়াংগুনের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। উড়োজাহাজটিতে এক শিশুসহ ২৯ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ২ জন কেবিন ক্রু ছিলেন।
আরও পড়ুন- ইয়াংগুনে আটকা পড়া যাত্রীদের স্বজনদের জন্য হেল্পলাইন ০২৮৯০১৫৩০
মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ সারাবাংলাকে জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বিমান যাত্রীদের কারও আঘাত গুরুতর নয়। তাদের কারোরই জীবনশঙ্কা নেই।
মিয়ানমারের বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত ওই বিমানের ১১ জনকে বিমানবন্দরেই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৯ জনকে বিমানবন্দরের কাছাকাছি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। তবে কারো অবস্থাই গুরুতর নয়।
রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আরেকটি বার্তায় জানিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ১৯ জনের মধ্যে ৪ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ইয়াংগুনে যাচ্ছে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট
বার্তায় আরো বলা হয়, দুর্ঘটনাকবলিত বিমানের (বিজি ০৬০) যাত্রীদের ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য বিশেষ একটি উড়োজাহাজ (বিজি ১০৬১) বুধবার রাতে ইয়াংগুনের পথে রওয়ানা হয়। ওই উড়োজাহাজে ১৮ জন যাত্রীর বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টায় ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইয়াংগুনে আটকা পড়া যাত্রীদের খোঁজ-খবর পেতে স্বজনরা বিমানের হেল্পলাইন ০২৮৯০১৫৩০ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন বলে বিমানের বার্তায় জানান হয়।
এদিকে, বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইয়াংগুন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ দুর্ঘটনার তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। তবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ‘পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত রানওয়ে বন্ধ’ ঘোষণা করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটগুলোকে নেপিডো বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিমানবন্দরে কর্মরত এক পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন, ইয়াংগুন বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনালের কাছের রানওয়েতে উড়োজাহাজটি ছিটকে পড়ে।
সারাবাংলা/জেআইএল/আরএ