‘জাহাজ কাটতে গিয়ে সাড়ে ৫ বছরে ৮৩ শ্রমিকের মৃত্যু’
১৯ মে ২০১৯ ২০:৪৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গত ৫ বছরে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে ৭৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাহাজ-ভাঙ্গা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরাম। সংগঠনটি জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অনেকে। এছাড়া চলতি বছরের গত সাড়ে চার মাসে ৬ শ্রমিকের মৃত্যু ও ১৬ জন আহত হয়েছে।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে আগুনে শ্রমিক হতাহতের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক তপন দত্ত।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাহাজ ভাঙ্গা কারখানার মালিকরা মুনাফা ছাড়া কিছুই বোঝে না। মালিকের অতি মুনাফার বলি হচ্ছে শ্রমিকরা। এসব কারখানায় শ্রমিকদের মৃত্যু কোনোভাবেই নিছক মৃত্যু নয়। বছরের পর বছর ধরে কর্মক্ষেত্রকে অনিরাপদ রেখে শ্রমিকদের হত্যা করা হচ্ছে।
নিহতদের পরিবারকে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, রুটি-রুজির জন্য এসে শ্রমিকের জীবনই যদি হুমকির মধ্যে পড়ে যায়, তা কখনোই শিল্পের ভবিষ্যতের জন্য সুখকর হতে পারেনা। বরং পুরো শিল্পই এখন হুমকির মধ্যে আছে বলা যায়।
শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় কারখানার মালিকের উদাসীনতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
এছাড়া প্রতিটি কারখানায় অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখারও দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাহাজ-ভাঙ্গা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক শেখ নূরুল্লাহ বাহার, আব্দুর রহিম মাষ্টার, মোহাম্মদ আলী, পাহাড়ি ভট্টাচার্য এবং ফজলুল কবির মিন্টু।
গত ১৫ মে সীতাকুণ্ডে প্রিমিয়াম ট্রেড করপোরেশন নামে একটি কারখানায় জাহাজ কাটার সময় আগুন লেগে ২ শ্রমিক নিহত ও ৫ জন শ্রমিক মারাত্মকভাবে আহত হন।
সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন