নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে এবার মাছ বিক্রেতাদের সড়ক অবরোধ
১১ জুন ২০১৯ ১৪:০১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে জেলেদের পর এবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন মাছ বিক্রেতা ও বোট মালিকরা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নগরীর প্রবেশপথ কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে তাদের বিক্ষোভের কারণে প্রায় আধাঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতুর গোলচত্বরে মানববন্ধন শুরু করেন শ’খানেক মাছ বিক্রেতা ও নৌযান মালিক। সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতি যৌথভাবে এই কর্মসূচি শুরু করে।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ১১টার দিকে মানববন্ধনে লোক সমাগম বেড়ে যায়। এ সময় তারা সড়কের উপর এসে বিক্ষোভ শুরু করলে কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। তবে, পরে আমরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের সময় শাহ আমানত সেতুর উপর গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। বাকলিয়াসহ আশপাশের এলাকায়ও যানজট তৈরি হয়। বিক্ষোভ শেষেও যানজট আধাঘন্টারও বেশি স্থায়ী ছিল।
সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাবুল সরকার সারাবাংলাকে বলেন, ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। অথচ সরকার এখন জেলেদের সাগরে যেতে দিচ্ছে না। আমরা যারা মাছের ব্যবসা করি, আমাদের ঘরে এখন অভাব-অনটন। এজন্য আমরা রাস্তায় আসতে বাধ্য হয়েছি।
এর আগে গত রোববার (৯ জুন) সীতাকুণ্ড উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে দেড়ঘন্টা বিক্ষোভ করেন নগরীর পতেঙ্গা থেকে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট পর্যন্ত ৩৮টি জেলেপল্লীর বাসিন্দারা। তাদের দাবি, ছোট নৌকা ও জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা যাবে না। পরে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক তাদের নিয়ে বৈঠক করে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ২০ মে থেকে সাগরে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে মাছ ধরা বন্ধ আছে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে ২৩ জুলাই।
সারাবাংলা/আরডি/জেএএম