হাজি মকবুলের লোক পরিচয়ে বাংলা ট্রিবিউনে জোর করে ৬ জনের প্রবেশ
১৫ জুন ২০১৯ ২২:২৬
ঢাকা: সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মো. মকবুল হোসেনের লোক পরিচয় দিয়ে জোর করে অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন কার্যালয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ছয় ব্যক্তি। এ ঘটনায় বাংলা ট্রিবিউনের মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী ম্যানেজার আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে শেরে বাংলানগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুর ১টার দিকে পান্থপথের এফআর টাওয়ারে অবস্থিত বাংলা ট্রিবিউন কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। শেরে বাংলানগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রশীদ জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী বাংলা ট্রিবিউনের কর্মীরা বলেন, ‘ছয় জন লোক কোনো পরিচয় না দিয়েই জোর করে অফিসে ঢুকে পড়েন। তারা সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ জানায়। এ সময় তারা নিজেদের সিটি ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের লোক বলে পরিচয় দেন।’
কী বিষয়ে কথা বলতে চান, জানতে চাইলে তা সাবেক এমপি মকবুল হোসেন টেলিফোনে বলবেন বলেও তারা জানান। এ সময় দায়িত্বশীল ব্যক্তি মিটিংয়ে আছেন বলে জানালে সিটি ইউনিভার্সিটির সহকারী রেজিস্ট্রার পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি (নাম প্রকাশে অস্বীকার করে) টেলিফোনে কাউকে বলতে থাকেন, ‘ভেতরে মিটিং হচ্ছে।’ এরপর তিনি সেই রুমে যেতেও উদ্যত হন বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বাংলা ট্রিবিউনের নিরাপত্তাপ্রহরী অখিলচন্দ্র বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী নিচতলা থেকে ওপরের যেকোনো ফ্লোরে যেতে নথিতে নাম, পেশা, ঠিকানা উল্লেখ করতে হয়। পাশাপাশি কার সঙ্গে দেখা করবেন, তারও নাম-পরিচয় লিপিবদ্ধ করতে হয়। আজ একজন নারী ও পাঁচ জন পুরুষ এসে বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করার কথা বলেন। সম্পাদক অফিসে নেই জানালে তারা কোনও এন্ট্রি ছাড়াই বাংলা ট্রিবিউন কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন।’
শেরে বাংলানগর থানার ডিউটি অফিসার এসআই আব্দুর রশীদ বলেন, ‘এই বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনের মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী ম্যানেজার একটি জিডি করেছেন। জিডির বিষয়ে শিগগিরই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলা ট্রিবিউন-ঢাকা টিবিউন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং-২০১৯ প্রকাশিত হয়। সেই র্যাংকিংয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন সিটি ইউনিভার্সিটি সেরা ২০-এর তালিকায় নেই। এ বিষয়ে লিখিত কোনো বক্তব্য বা ব্যাখ্যা না দিয়ে ফোনে সম্পাদক, একাধিক সাংবাদিক ও কর্মকর্তার সঙ্গেও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ ও রূঢ় আচরণ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এমও