সন্ত্রাসীদের নখ ও দাঁত কত বড় জানতে চাই: শামীম ওসমান
৮ জুলাই ২০১৯ ০০:৫৯
জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: নিজ এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ে লজ্জা প্রকাশ করেছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।
তিনি বলেছেন, আমি লজ্জিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারছি না বলে। তাই সংসদে এ বিষয়টা জানিয়ে অন্তত শান্তি পেলাম। ওই চাঁদাবাজদের পক্ষে আমার কোন সমর্থন নেই, বরং অতিদ্রুত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রোববার (৭ জুলাই) রাতে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন সরকার দলীয় এ সংসদ সদস্য।
শামীম ওসমান বলেন, ‘বেশ কয়েকটি পত্রিকায় খবর প্রকাশ পেয়েছে যে শামীম ওসমানের এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি হয়। আমি সবসময় সত্য কথা বলার চেষ্টা করি। অন্যায়, মিথ্যা আর অসত্যের প্রতিবাদ করি। সত্যের পক্ষে কথা বলি। যে ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে, সেই ঘটনা সত্য।’
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি অফিসারদের কোয়ার্টার নির্মাণকাজ চলছে। চার বছর আগে ওই কাজের টেন্ডার হয়েছে। তৎকালীন মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম সেখানে একটি খেলার মাঠ রাখার জন্য। তিনি সেই দাবি রেখেছেন। ইতোমধ্যে খেলার মাঠের জন্য ১২ কোটি টাকা অনুদানও দেয়া হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে, বিআইডব্লিউটিএ যে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছিল সেখান থেকে একটি চাঁদাবাজ গোষ্ঠী চাঁদা আদায় করছে। ওয়াকওয়েটা পুরো ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানে মালামাল লোড-আনলোড করা হচ্ছে। সেখানে শ্রমিকদের কাছে থেকে দুই এক টাকা করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে খেলার মাঠের নাম করে। সেখান থেকে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। আমি জানতে চাই সন্ত্রাসীদের নখ এবং দাঁত কতটুকু বড়? চাঁদাবাজদের হাত কতটুকু বড়?’
তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় নিউজ হয় শামীম ওসমানের এলাকায় চাঁদাবাজি হচ্ছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো কাজ শুরু করতে পারছে না, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে তারা জিডি করেছে। আমি লজ্জিত এ বিষয়ে কিছু করতে পারছি না বলে। ওই চাঁদাবাজির পক্ষে আমার সমর্থন নেই। তাই মন্ত্রীকে অনুরোধ করবো দ্রুত আমাকে এই বদনাম থেকে রক্ষা করুন এবং চাঁদাবাজ যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/ওএম