দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
১৫ জুলাই ২০১৯ ১২:২০
ঢাকা: রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন-ভাতাসহ পেনশন চালুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
সোমবার (১৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো এই কর্মসূচি পালন করছেন দেশের ৩২৮টি পৌরসভা থেকে আসা কয়েক হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌরসভার সচিব আব্দুল আলীম মোল্লা। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, পৌরসভার আয় পর্যাপ্ত না হওয়ায় অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন দীর্ঘ কয়েক মাস যাবৎ বকেয়া রয়েছে। যার ফলে আমাদের জীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। আমরা চাই, আমাদের বেতন-ভাতা পেনশন সুবিধা সব কিছুই সরকারি কোষাগার থেকে দেওয়া হোক। আমাদের এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
আব্দুল আলীম আরও বলেন, পৌরসভার আয় থেকে আমাদের যে বেতন দেওয়া হয়, তাতে আমরা সংসার চালাতে পারি না। তারওপর বেতন বকেয়া থাকে, পেনশন নেই। এটা অমানবিক।
এই আন্দোলনের নেতা ও পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম বলেন, সরকার আমাদের চাকরি দেয়, শাস্তি দেয়, বদলি করে, শুধু ঠিক মতো বেতন দেয় না। সব কিছুই যদি সরকারি হয়, তাহলে বেতন কেনো সরকারি হবে না? প্রশ্ন রাখেন তিনি।
আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের অনেকে ৭২ মাস পর্যন্ত বেতন ছাড়া অফিস করছেন। সর্বনিম্ন পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের কাছে দ্রুত বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন।
আব্দুল আলীম মোল্লা বলেন, আমাদের বেতন আসে পৌরসভার নিজস্ব আয় থেকে। ফলে পৌরসভা নিয়মিত বেতন দিতে পারে না। ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ বেতন দেয় সরকার। একই নিয়মে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালিত হয়, তাহলে বেতনের ক্ষেত্রে কেন দুই নীতি? আমরাও তাদের মতো সরকারি বেতন চাই।
তিনি বলেন, আমাদের ৩২৮টি পৌরসভার মধ্যে মাত্র ৩৩টি পৌরসভার বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করে। আমাদের ৩৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরকারের কাছে এই বিষয়ে আশু সমাধান চাচ্ছি।
সারাবাংলা/টিএস/এটি