আবরার হত্যা মামলার আরেক আসামি মাজেদুল গ্রেফতার
১১ অক্টোবর ২০১৯ ১১:৫২
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার মাজেদুল ইসলাম বুয়েটের ম্যাটেরিয়াল অ্যান্ড মেটালারজিক্যাল (এমএমই) বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
মাসুদুর রহমান জানান, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে সিলেটের শাহ কিরণ এলাকা থেকে মাজেদুলকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা-দক্ষিণ বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিম।
আরও পড়ুন- আবরার হত্যায় স্বীকারোক্তি দিলেন ছাত্রলীগ নেতা সকাল
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মাজেদুল আবরার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আট নম্বর আসামি।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আবরার হত্যার ঘটনায় ১৭ জনকে আটক বা গ্রেফতার করা হলো। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩। বাকি চার জনকে আবরার হত্যায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার ১৩ জনের মধ্যে ইফতি মোশারফ হোসেন সকাল এরই মধ্যে আবরার হত্যায় অংশ নেওয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- আজও উত্তাল বুয়েট, র্যাগিং বন্ধসহ ১০ দফা দাবি শিক্ষার্থীদের
আবরারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে ঘটনার সময়ে শেরে বাংলা হলের ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য আলামত থেকে ১৯ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। আবরার হত্যায় তার বাবা বরকত উল্লাহও চকবাজার থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের আসামি হিসেবে মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারভুক্ত আসামিদের প্রত্যেকেই বুয়েটের শিক্ষার্থী ও বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন- খাতায় অঙ্ক শেষ করতে পারেননি আবরার
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন— মেহেদী হাসান (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৩তম ব্যাচ), মুহতাসিম ফুয়াদ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৪তম ব্যাচ), অনীক সরকার (১৫তম ব্যাচ), মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), ইফতি মোশারফ হোসেন সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), মনিরুজ্জামান মনির (পানিসম্পদ, ১৬তম ব্যাচ), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোজাহিদুল (ইইই, ১৬তম ব্যাচ), তানভীর আহম্মেদ (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ) , জিসান (ইইই, ১৬তম ব্যাচ), আকাশ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ), শাদাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ), তানীম (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ) ও মোয়াজ, মনতাসির আল জেমি (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিভাগ)।
গত সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোরে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার সহপাঠীরা বলছেন, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মেরেছে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার এক নেতাও স্বীকার করেছেন, আবরারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও মারধরের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান।
আরও পড়ুন-
আবরার হত্যা: প্রতিবাদে মুখর ক্যাম্পাস [ফটো স্টোরি]
আবরার হত্যার ঘটনা পুঁজি করে মাঠে নেমেছে ছাত্রশিবির