৬৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন
১৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:০৮
ঢাকা: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে সহকারী শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে নির্ধারণের দাবিতে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০টা থেকে ১২টা অর্থাৎ ২ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন হয়েছে।
সোমবার ( ১৪ অক্টোবর) প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৪টি সংগঠন নিয়ে গঠিত মোর্চা ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে দেশের সকল প্রাথমিক শিক্ষকরা এ কর্মবিরতি পালন করেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত, বুধবার অর্ধ দিবস এবং বৃহস্পতিবার পূর্ণ দিবস কর্ম বিরতি পালন করবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষক বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন না করে কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের সাথে প্রহসনমূলক আচরণ করছেন। এতে করে প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান কমেছে। বেতন বৈষম্য নিরসন না হলে শিক্ষকরা ২৩ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবেন এবং মহাসমাবেশ থেকে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবিতে ২০১৭ সালে সহকারী শিক্ষকরা ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে যান। তখন তৎকালীন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ২৫ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে এক মাসের মধ্যে শিক্ষকদের দাবী বাস্তাবয়নের প্রতিশ্রুতি দিলে শিক্ষকরা আমরণ অনশন সাময়িক স্থগিত করেন। কিন্তু ২ বছর পার হলেও শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন হয়নি।
জাতীয় নির্বাচনের আগে শিক্ষকরা আবারও আন্দোলনের ডাক দিলে বর্তমান সরকার তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিটি অন্তর্ভুক্ত করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন পরবর্তী সরকারের ১০ম কার্যদিবসের মধ্যে বৈষম্য নিরসনের আশ্বাস দেন। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী সরকারের ১০ মাস অতিবাহিত হলেও সঠিক কোন উদ্যোগ না থাকায় শিক্ষকরা আবারও আন্দোলনের ডাক দেয়।
এদিকে প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহব্বায়ক আনিসুর রহমান, সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ, প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, প্রধান সমন্বয়ক আতিকুর রহমান, নীতি নির্ধারণী চেয়ারম্যান আব্দুল্যাহ সরকার, মুখপাত্র বদরুল আলম,রবিউল ইসলাম ও আব্দুস সবুর এক বিবৃতিতে জানান, কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবী বাস্তবায়নে শতভাগ আন্তরিক নন। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কারও আশ্বাসে কর্মসূচী প্রত্যাহার করবো না। প্রধানমন্ত্রী দাবী বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়ার সাথে সাথে আমরা আমাদের সকল কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেব।
আন্দোলন কঠোর আন্দোলন প্রত্যাহার প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক