দেশের সীমানায় প্রবেশ করেছে ‘বুলবুল’
১০ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৫০
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূল অঞ্চল লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর চারটা নাগাদ বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করেছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ হয়ে ঝড়টি এখন ক্রমশ উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সকাল সাতটার আগেই ঝড়টি পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশের স্থলভাগে অবস্থান নেবে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঝড়টি ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ অংশ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রথম আঘাত পশ্চিমবঙ্গে
আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বুলবুলের শক্তি ক্ষয় হচ্ছে। ফলে এটি আরও বেশি দূর্বল হয়ে দেশের উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। রোববার দুপুরের দিকে ঝড়টি বাংলাদেশের পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে এসে অবস্থান নিতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় লোকালয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমবে।
আরও পড়ুন- বুলবুলের শক্তি কমলেও জলোচ্ছ্বাস হতে পারে
এদিকে বুলবুলের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। রাত তিনটার পর সমুদ্রে জোয়ার আসায় ঢেউয়ের উচ্চতা বাড়তে শুরু করেছে বলেও জানা গেছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি.-এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কি.মি.। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি এখন সাত থেকে আট কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে।
এদিকে অতি প্রবল থেকে শক্তি কমিয়ে ইতিমধ্যেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে বুলবুল। তবে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর এখনো প্রবলভাবে বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের জন্য মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এছাড়া, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বুলবুল অতিক্রমের সময় উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।