যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস: পদ্মাসেতুর আদলের মঞ্চে থাকবেন শেখ হাসিনা
১৮ নভেম্বর ২০১৯ ২২:১৭
ঢাকা: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, যুবলীগের ৭ম জাতীয় কংগ্রেসের জন্য পদ্মাসেতুর আদলে একটি মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। কাউন্সিলের দিন সেই মঞ্চে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের ৭ম কংগ্রেসের প্রস্ততি উপলক্ষ্যে মঞ্চ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। ২৩ নভেম্বর যুবলীগের ৭ম জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২০ অক্টোবর গণভবনে যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার এক বৈঠকে আসন্ন কংগ্রেসে যুবলীগের বয়সসীমা ৫৫ বছর করা হয়। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘যুবলীগের নেতৃত্ব যুবকদের হাতে রাখার জন্যই বয়সসীমা ৫৫ বছর করা হয়েছে। এই বয়সসীমা কমানোর কোনো সুযোগ নেই।’
যুবলীগের সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘যুবলীগের ৭ম কংগ্রেসকে ঘিরে আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। সারাদেশের লাখো যুবক এই কংগ্রেসে যোগ দেবে। মূল মঞ্চটি ঠিক রেখে কৃষক লীগ যখন সম্মেলন করেছে, তখন তারা তাদের আঙ্গিকে মঞ্চ সাজিয়েছেন। এমনিভাবে শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগও তাদের মত সাজিয়েছেন। যুবলীগও মূল মঞ্চ ঠিক রেখে সাজিয়েছেন।’
নানক বলেন, ‘এখানে যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা রয়েছেন। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, যুবলীগ নতুন আঙ্গিকে মঞ্চ তৈরি করছেন এবং সেটি পদ্মাসেতুর আদলে। সেই মঞ্চে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।’
‘যুবলীগের যে ৫৫ বছর বয়সসীমা করা হয়েছে তা বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা আছে কি না?’ এ বিষয়ে নানক বলেন, ‘আসলে এটিই রাজনীতির নিয়ম। কেউও বেশিদিন থাকতে পারে না। আমি ও মির্জা আজমও যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আমরাও বেশিদিন থাকতে পারিনি। আমরাও অনেক নির্দিষ্ট সীমার বাইরে ছিলাম। কাজেই আজকে যিনি ছাত্রলীগ, আগামী দিনের যুবলীগ বা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। তিনিই আগামী দিনের আওয়ামী লীগ।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছিল শেখ ফজলুল হক মণির নেতৃত্বে। আমার কাছে সেই গঠনতন্ত্রটা এখনো রয়েছে। আমি সংরক্ষণ করেছি। সেখানে ৩৫ বছর ঊর্ধ্ব কোনো যুবক যুবলীগ করতে পারবেন না। এটা পরিষ্কার বলা ছিল। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই তিন বারের রাষ্ট্র পরিচালনায় বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সত্যিকার যুবকের কাছে যুব সংগঠনটি রাখার জন্য, যুবলীগের বয়সসীমা ৫৫ বছর করেছেন। আমরা মনে করি, তিনি সঠিক কাজ করেছেন।’
ঢাকা মহানগর যুবলীগের সম্মেলন বিষয়ে জানতে চাইলে নানক বলেন, ‘এই প্রশ্নটি অনেকেই করেছেন। আসলে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর এবং দক্ষিণের সম্মেলন এর আগে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত ছিল। এটি একটি ব্যত্যয় ঘটেছে। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। আমরা আমাদের পার্টির ভেতরে আলাপ করেছি। নেত্রী বিদেশ থেকে আসার পর আমরা তার সঙ্গে এই বিষয়টি আলাপ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
এদিকে কংগ্রেসের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম বলেন, ‘এরই মধ্যে সব ডিজাইন ও প্ল্যানিং হয়ে গেছে। কি রকম স্টেজ থাকবে, মঞ্চের ডিজাইন কি রকম থাকবে। কিছুক্ষণ আগে আমাদের নেতা নানক ভাই জানিয়েছেন যে, মঞ্চটি পদ্মাসেতুর অবয়বে করা হবে। তার ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অনেক চমক রয়েছে।
যুবলীগের ইমেজ সংকট নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না যে, যুবলীগের কোনো ইমেজ সংকট এখন রয়েছে। সেটা ওভারকাম করা হয়েছে। আমরা আমাদের গতিতেই এগিয়ে চলেছি। এই মুহূর্তে আমাদের কোনো ইমেজ সংকট নেই। আগামীতেও থাকবে না।’
এসময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব হারুনুর রশিদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।