ধূমপানে বাধা দেওয়াতেই খুন হন ঢামেক হাসপাতালের কর্মচারী আমির
১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:২৭
ঢাকা: ধূমপানে বাধা দেওয়াতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজের কর্মচারী আমির হোসেন খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, আটক ইব্রাহীমকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে বিভিন্ন সময় আমিরের সামনে ধূমপান করতো সে। এ বিষয় নিয়ে ইব্রাহিমের মায়ের কাছেও অভিযোগ করেছিল আমির। এভাবে কয়েকবার অভিযোগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমিরকে হত্যা করেছে সে।
ওসি আরও জানান, কয়েকদিন ধরেই সুযোগ খুঁজছিল ইব্রাহিম। রোববার সুযোগ পেয়ে ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে আমিরের মাথার পেছনে সজোরে আঘাত করে সে। মামলা প্রক্রিয়াধীন, আটক ইব্রাহীমকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। আর ক্রিকেট ব্যাটটিও জব্দ করা হয়েছে।
নিহতের ছেলে মো. মারুফ হোসেন জানান, এক সপ্তাহ আগে ইব্রাহীম হাসপাতালের বহির্বিভাগে ধূমপান করছিলো। এইটা দেখে তার বাবা আমির হোসেন ইব্রাহীমকে ধমক দেয়। পরে ইব্রাহীমের মায়ের কাছে বিচার দেয়। এর জেরেই সকালে বহির্বিভাগ দিয়ে আসার পথে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ইব্রাহীম ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘একজন মাদকসেবীকে হাসপাতালে ভিতরে ধূমপান না করার জন্য নিষেধ করায়, ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে আমার কর্মচারীকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আমির খুবই ভালো মানুষ ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমিরের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস। নিহত আমিরের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগ এলাকায় ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে আঘাত করায় আমির হোসেন (৫০) নামে হাসপাতালের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।