আবেদন প্রস্তুত, চ্যারিটেবল মামলায় ফের জামিন চাইবেন খালেদা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৩৫
ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ফের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়টি উল্লেখ করে এরই মধ্যে জামিন আবেদন প্রস্তুতও করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন- ‘চিঠি অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্টের জন্য, বাকি প্রশ্ন অবান্তর’
খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সারাবাংলাকে বলেন, খালেদা জিয়া মারাত্মক অসুস্থ। দিন দিন তার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে তার এক হাত প্রায় অকেজো হয়ে গেছে। তিনি একা কিছুই করতে পারেন না। এ বিষয় উল্লেখ করে তার জামিন আবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) কোর্টে আবেদনটি দাখিল করা হবে।
খালেদা জিয়ার জামিন হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া হবে বলেও জানান এই আইনজীবী।
আরও পড়ুন- খালেদার মুক্তি প্যারোলেই!
এর আগে, জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন গত ১২ ডিসেম্বর খারিজ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। এরপর ফের আপিল বিচারাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদন করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। আমি প্রথম থেকেই বলছি, সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া সাধারণ আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে মুক্ত করা সম্ভব না। তারপরও জামিন আবেদন করা হচ্ছে। আশা করছি, আদালত জামিন মঞ্জুর করবেন।’
আরও পড়ুন- খালেদাকে বিদেশ নেওয়ার সুপারিশ চেয়ে বিএসএমএমইউ ভিসির কাছে আবেদন
বিএনপির আরেক আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সারাবাংলাকে বলেন, সরকার বিচার ব্যবস্থার ওপরে সবসময় প্রভাব বিস্তার করে। তারপরও আমাদের আইনি পথেই মোকাবিলা করতে হবে। এর বাইরে আমাদের কোনো পথ নেই।
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় দেড় ডজন মামলা থাকলেও অধিকাংশ মামলাতেই তিনি জামিনে আছেন। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পাননি তিনি। দুই মামলাতেই সাজা পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- খালেদার প্যারোলের বিষয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি: ওবায়দুল কাদের
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন ওই আদালতের বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান। প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
পরে গত বছরের ৩১ জুলাই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। গত ৫ ডিসেম্বর সেই আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগে হট্টগোলের ঘটনাও ঘটেছিল।
খালেদা জিয়া জামিন জামিন আবেদন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা