আসামির অবস্থানের ‘তথ্য’ পেয়েও ‘নির্বিকার’ পুলিশ
১০ মার্চ ২০২০ ০৮:০০
ঢাকা: হত্যা মামলার আসামি প্রাকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু পুলিশ তাদের খুঁজে পাচ্ছে না। এমনকি আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে ‘তথ্য’ পাঠালেও ‘নির্বিকার’ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আসামিদের গ্রেফতারে নেই কোনো উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ। অভিযোগ রয়েছে, আসামিদের গ্রেফতারে অবস্থান জানিয়ে তথ্য দেওয়ায় উল্টো মামলার বাদিকে ভয় দেখানো হচ্ছে থানা থেকে। এমন ঘটনাই ঘটেছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায়।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রোকসানা আক্তার (৪০) নামের এক নারীকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ওই নারীর ভাই রাজু। এ ঘটনায় পুলিশ রোকসানার স্বামী রেজা (৫০) এবং ননদ রিনাকে (৪২) গ্রেফতার করেছে। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি নিহত রোকসানার দেবর সোহেল (৩৫) ও শাশুড়ি রিজিয়া (৬৫) এখনও ‘পলাতক’ রয়েছে।
যদিও মামলার বাদি অর্থাৎ রোকসানার ভাই রাজু আহমেদের অভিযোগ, আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে তথ্য দিলেও বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না পুলিশ। উল্টো থানা থেকে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্যাতনের সংসারে ২২ বছরের লড়াই, তবুও বাঁচল না রোকসানা
রাজু আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ওইদিন রাতে যখন পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে আসে তখন বাড়িতে সবাই ছিল। কিন্তু পুলিশ শুধু আমার বোনের স্বামী রেজা আর তার বোন রিনাকে গ্রেফতার করে। অথচ সেখানে মূল হত্যাকারী বোনের দেবর সোহেল ও তার শাশুড়ি রিজিয়া সেখানেই ছিল। কিন্তু পুলিশ টাকা খেয়ে তাদের গ্রেফতার না করে চলে যায়। ওই দুজন মামলার আসামি হওয়ার পরও এখনও তাদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এমনকি আসামিদের অবস্থান উল্লেখ করে তথ্য দিলেও পুলিশ আমলে নেয় না।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আসামির অবস্থান জানাতে তদন্ত কর্মকর্তাকে ফোন দিলেও তিনি ধরেন না। এমনকি এসএমএস করে পর্যন্ত আসামির অবস্থানের বিষয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ আমলে নেয়নি। উল্টো থানা থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যাতে এ বিষয় নিয়ে আমরা কোনো বাড়াবাড়ি না করি। তাই আমরাও আর কিছু বলি না। আমরা ভাই গরিব মানুষ। আমরা টাকা দিতেও পারব না, ন্যায় বিচারও পাব না; এটাই সত্য।’
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বিল্লাল হোসেন জনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আসামিকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না- এই অভিযোগ ঠিক না। দুজন আসামিকে গ্রেফতার করে এরই মধ্যে কারাগারে পাঠিয়েছি। বাকি দুজনকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আর টাকা-পয়সা নিয়ে আসামি না ধরার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’