‘বাংলাদেশে যত ভেন্টিলেটর আছে, অনেক বড় দেশেও তা থাকে না’
৩০ মার্চ ২০২০ ০১:২৫
ঢাকা: বাংলাদেশে সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য যে পরিমাণ ভেন্টিলেটর রয়েছে, তা অনেক বড় বড় দেশেও থাকে না বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, আমাদের হাতে এখন পাঁচশর মতো ভেন্টিলেটর রয়েছে। আরও সাড়ে তিনশ ভেন্টিলেটর আসছে। এত ভেন্টিলেটর পৃথিবীর অনেক বড় বড় দেশেও থাকে না।
রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি নিয়ে আইইডিসিআর আয়োজিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, আমরা আড়াইশ ভেন্টিলেটর এরই মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে হস্তান্তর করেছি। আরও প্রায় তিনশ ভেন্টিলেটর আমাদের হাতে আছে। আরও সাড়ে তিনশ ভেন্টিলেটর আসছে। অনেক বড় বড় দেশেও এত ভেন্টিলেটর থাকে না, যা বাংলাদেশে আছে।
আরও পড়ুন- টেস্ট করিয়েছি, আমি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হইনি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভেন্টিলেটরের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অনেক চ্যানেলে বলেছে, আমাদের মাত্র ২৯টি ভেন্টিলেটর আছে। এটা সঠিক নয়। কাজেই আমাদের হাতে কতগুলো ভেন্টিলেটর আছে, সেটা আপনাদের জানালাম। হাতে প্রায় ৫০০ ভেন্টিলেটর আছে। আরও ২৫০টি ভেন্টিলেটর আসছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি বিধায় বাংলাদেশ ভালো আছে। ইউরোপ-আমেরিকার অবস্থা কেমন, তা আপনারা জানেন। সে বিষয়ে আমি আর বিস্তারিত আলাপ করতে চাই না। আমরা ভালো আছি, ভালো থাকতে চাই। বিশ্বের বাকি দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশ এখন অনেক ভালো আছে।
জানুয়ারি মাস থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ প্রশংসা কুড়িয়েছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আমরা গতকাল তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। তারা আমাদের কিছু গাইডলাইন দিয়েছে। তাদের সঙ্গে আরও ১০টি দেশ ছিল। তারাও বলেছে, আমরা যে প্রস্ততি নিয়েছি, তা সন্তোষজনক। এমনকি জাতিসংঘও সন্তুষ্টি জানিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, করোনাভাইরাস রোধে আমাদের প্রস্তুতি ছিল কি না। আমি বলতে চাই, আমরা জানুয়ারি মাস থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সাধারণ ছুটি বাড়বে কি না, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত
এদিকে, আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা আছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার না কমলে ছুটি বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে। জবাবে তিনি বলেন, ছুটি শেষ হওয়ার আগে পরিস্থিতি কেমন থাকবে, তা পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ছুটি শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো। যদি এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অবস্থা সহনশীল পর্যায়ে চলে আসে, তখন একরকম চিন্তা হবে। আর যদি সেটা না হয়, তখন প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেবো পরিস্থিতি দেখে পদক্ষেপ নেওয়ার। পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন।
করোনা পরিস্থিতি করোনা প্রতিরোধে প্রস্তুতি করোনাভাইরাস ভেন্টিলেটর সাধারণ ছুটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক