Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনা প্রতিরোধে ৮৫০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক


৪ এপ্রিল ২০২০ ২০:২৭

ঢাকা: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ১০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। যা স্থানীয় মুদ্রায় ৮৫০ কোটি টাকা। এ ঋণ অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটির বোর্ড।

শনিবার (৪ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নভেল করোনা ভাইরাস পরীক্ষা, চিকিৎসা, সন্দেহভাজনদের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাপনা ও স্ক্রিনিং ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যয় করা হবে এ অর্থ।

সুদের হারের বিষয়টি প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ না থাকলেও সংস্থাটির ঢাকা অফিসের যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব জানান, করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ঘোষিত ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের বৈশ্বিক সহযোগিতা প্যাকেজ থেকে বাংলাদেশের জন্য ১০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। আইডিএ ঋণের যে শর্ত সেই সহজ শর্তেই এই ঋণ পাবে বাংলাদেশ। পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরের এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। সুদের হার পড়বে ২ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় সদস্য দেশগুলোর জন্য গত ৩ মার্চ প্রাথমিকভাবে ১২ বিলিয়ন (১ হাজার ২০০ কোটি) ডলার সহযোগিতার ঘোষণা দেয় বিশ্বব্যাংক গ্রুপ। এর অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ ১০ কোটি ডলার পাচ্ছে। আইডিএ, আইবিআরডি ও আইএফসি’র যৌথ যোগানের এই তহবিল কভিড-১৯ মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করবে বলে বিশ্ব ব্যাংক। প্রকল্পটির আওতায় জেলা পর্যায়ের হাসপাতালের পাশাপাশি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের (বিআইটিআইডি) সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেমবন বলেন, কোভিড-১৯-এর বিস্তার রোধে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার যে কর্মকৌশল নিয়েছে, তা বাস্তবায়নে ঋণের ওই অর্থ কাজে লাগবে। সেই সঙ্গে কার্যকর সার্ভেইলেন্স ও ডায়াগনস্টিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, পিপিইর যোগান বৃদ্ধি এবং ভেন্টিলেটর ও আইসোলেশন ইউনিট বাড়ানোর মাধ্যমে সংক্রমণের বিস্তার রোধে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ঋণের এ অর্থ সহায়ক হবে।

ঋণ বিশ্বব্যাংক সহায়তা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর