বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ: একক ঋণ সীমা হিসাব হবে না
১২ এপ্রিল ২০২০ ১১:৩১
ঢাকা: সরকার রফতানিমুখী শিল্প খাতের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। এই বিশেষ তহবিল থেকে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে মালিকদের একক ঋণগ্রহীতার সর্বোচ্চ সীমা হিসাব করা হবে না।
শনিবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১-এর ১২১ ধারার ক্ষমতাবলে সব তফসিলি ব্যাংক বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে একক ঋণগ্রহীতার সর্বোচ্চ সীমা হিসাব করার ক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১-এর ধারা ২৬(খ) এর উপধারা-১এর নিয়ম পরিপালন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এর আগে গত ২ এপ্রিল রফতানিমুখী শিল্প খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করে একটি সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সার্কুলারে বলা হয়, বিশেষ তহবিল থেকে কেবল সচল রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ঋণ পাবেন। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে মালিকদের এককালীন দুই শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। পাশাপাশি ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ বিশেষ তহবিলের ঋণের টাকা পরিশোধে সময় থাকবে ২ বছর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকের কোনো একক গ্রাহক ফান্ডেড, নন-ফান্ডেড মিলে একটি ব্যাংক তার মোট মূলধনের সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ ঋণ পেতে পারেন। কোনো ব্যাংক তার গ্রাহককে এ ঋণ সীমা অতিক্রম করে ঋণ দিতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনাপত্তি নিতে হয়। শনিবারের সার্কুলার অনুযায়ী রফতানিমুখী শিল্পখাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেওয়া বিশেষ তহবিলে মালিকদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে একক ঋণগ্রহীতার এই সীমা প্রযোজ্য হবে না।
৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল ঋণগ্রহীতার সর্বোচ্চ সীমা রফতানিমুখী শিল্প শ্রমি-কর্মচারীদের বেতন