Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বেশি দিতে পারব না, কিঞ্চিৎ হলেও সবাই পাবে’


১৪ মে ২০২০ ১৬:০৪

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি এলাকার মানুষের কষ্ট দূর করাই আমাদের লক্ষ্য এবং আমরা সেটাই চাই। আমাদের এত মানুষ। হয়তো অনেক বেশি দিতে পারব না, কিন্তু কিঞ্চিৎ পরিমাণ হলেও সবাই পাবে। কারও যেন কষ্ট না হয় এবং সবাইকে কিছু দিতে পারি সেই চিন্তা থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের হিসাবে সরাসরি নগদ অর্থ প্রেরণ এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর পর ভবিষ্যতে আমরা যেটা করতে যাচ্ছি। আমাদের দেশে আরও কিছু মানুষ পড়ে আছে। যেমন-হিজড়া বেদে বা বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা তাদের কিছুটা সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। করোনাভাইরাসের সময় মা ও শিশুদের জন্য কী কী জিনিস করা যায় সে বিষয়ে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে ‍যুবকদের যেন ঘুর বেড়াতে না হয় সেজন্য প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই আমরা তাদের জন্য বিশেষ ব্যাংক তৈরি করে দিয়েছিলাম (কর্মসংস্থান ব্যাংক)। সেই সময় থেকে এই ব্যাংক থেকে এখনও আছে। বিনা জামানতে একজন যুবক বা তরুণ-তরুণী সেখান থেকে স্বল্প সুদে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারে। ঋণ নিয়ে তারা ব্যবসা করতে পারে। অথবা তারা বন্ধু-বান্ধব মিলে যৌথভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারবে সেই সুযোগ সৃষ্টির জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক তৈরি করি।’

তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আছে; সেই ব্যাংকের ‘আমরা আমার বাড়ি আমার খামার’ কর্মসূচি নিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ব্যাপকভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এটা একটা প্রকল্পের মাধ্যমে চলছে। ভবিষ্যতে প্রকল্পের মাধ্যমে যাতে না চলে, তারা যেন সমবায় সমিতি করে নিজের ব্যবসা চালাতে পারে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই কথা চিন্তা করেই আমরা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এতিমখানার বাচ্চারা একেবারে এতিম। যাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তারা খুব কষ্টের মধ্যে ছিল। আমরা তাদের কথা চিন্তা করে ইতোমধ্যে ৬ হাজার ৮৬৫ কওমি মাদরাসা এতিমখানায় ১০ কোটি টাকার মতো অর্থ সহায়তা দিয়েছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে আমরা ৭০ হাজার কওমি মাদরাসাকে ঈদের আগে আর্থিক সহায়তা প্রদান করব।’ এভাবে এতিম বা যারাই আছে কোনো শ্রেণি যাতে অবহেলিত না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন মসজিদে মুয়াজ্জিন সম্প্রদায় আছেন। আমরা মনে করি আমাদের একটা দায়িত্ব আছে। একটা তালিকা করতে বলেছি। সব মসজিদে ঈদ ও রমজান উপলক্ষে আমি কিছু আর্থিক সহায়তা দেবো। এই কারণে আমরা দিচ্ছি যে, প্রতিটি এলাকার মানুষের কষ্ট দূর করাই আমাদের লক্ষ্য।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে নিয়ে যাব। এই মুজিববর্ষ উপলক্ষে যেহেতু আমরা আমাদের সমস্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারলাম না কাজেই আমাদের যা যা টাকা-পয়সা এখানে-সেখানে ছিল সেগুলো নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। আমরা সেখান থেক যে অর্থ সাশ্রয় করতে পারছি সেগুলো অসহায় মানুষদের দিচ্ছি।’

নগদ সহায়তা মোবাইলে হাতে হাতে পৌঁছানোর দিকটি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটাই হলো আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ। হাতে হাতে টাকা নিতে হবে না। কারও কাছে যেতে হবে না। ধরনা দিতে হবে না। বলতে হবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি এটা কিছুই না। তারপরও যেটুকু দিতে পেরেছি এই এটুকু হলেও মানুষের কাজে লাগবে বলে আশা করি। দোয়া করবেন যেন এভাবেই দিয়ে যেতে পারি।

রূপসী গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবির দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গোলাভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ, খেতে তরি-তরকারি, ফলমূল, ফল-ফলাদি যেন আরও ব্যাপকভাবে হয়। আমাদের দেশের মানুষ দুধভাতে যেন ভালো থাকে।’

গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।

কিঞ্চিৎ টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী মানুষ পাবে শেখ হাসিনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘আমাদের সেনাবাহিনী যেন তৈরি থাকে’
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২৯

আগস্টে কমেছে মূল্যস্ফীতি
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৭

সম্পর্কিত খবর