Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা হালনাগাদে ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে’


১৭ মে ২০২০ ১৬:৪৮

ঢাকা: আগামী সাত দিনের মধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অবৈধ কার্ড বাতিল করে তালিকা হাল নাগাদ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। একই সঙ্গে সরকারি গুদামের মজুদ বাড়াতে ধান-চাল ক্রয়ে গতি ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৭ মে) সকাল ১১টায় মন্ত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে রাজশাহী বিভাগের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সভার সমন্বয় করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কথা তুলে ধরে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘এ কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের তালিকা নিয়ে কিছু অভিযোগ আসায় প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। অতি দ্রুত যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গরীব ও দুস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নতুন করে তালিকা পাঠানোর জন্য। এজন্য যেকোনো প্রকার হুমকি-ধমকিকে ভয় না করে, স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থেকে প্রকৃত গরিব ও দুঃস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রস্তুত করার।’

কনফারেন্সে তিনি নির্দেশ দেন, প্রতিটি উপজেলায় অতীতে তালিকা তৈরি করার সময়ে যে ট্যাগ অফিসার ছিলেন প্রয়োজনে তাদেরকে সরিয়ে নতুন করে কোনো ট্যাগ অফিসারকে দায়িত্ব দিতে। এছাড়া সেগুলো হালনাগাদ করে নতুন তালিকা সাত দিনের মধ্যে প্রণয়ন করারও নির্দেশ দেন।

এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং কৃষক ন্যায্য দাম পাচ্ছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী এই বাজার দর ধরে রাখতে সরকারী সংগ্রহের গতি বাড়ানোর কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যশস্যের মান যাচাই করে সংগ্রহ করতে হবে।’ ধান-চাল কেনায় কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেয়ারও হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত পড়ে না থাকে। এজন্য আউশ মৌসুমে কৃষক যেন আউশ ধানের চাষ করে। যে সমস্ত কৃষক আউশের প্রণোদনা নিয়েছেন; তারা বীজ তলা তৈরি করেছে কি না তা যাচাই করে দেখতে স্থানীয় কৃষি প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।‘

কৃষকদের আউশ আবাদে আরও আন্তরিক হবার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকদের আউশ ধানের আবাদে আরও আন্তরিক হতে হবে। অনেক কৃষকই আউশ মৌসুমে প্রণোদনা নিয়ে থাকে কিন্তু পরে আর আবাদ করে না; যারা প্রণোদনা পাবার পরও আউশ ধানের আবাদ করবে না তাদের প্রণোদনা বাতিলসহ পরবর্তীতে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।’

ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহী বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের প্রকিউরমেন্ট যেন কৃষকবান্ধব প্রকিউরমেন্ট হয়। চালের মান নিয়ে কোনো আপোষ নেই। ধান-চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রতিটি উপজেলায় সংগ্রহ কমিটি রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই দেশের অনেক জায়গায় লটারি হয়েছে এবং বাকি জেলা-উপজেলায়ও খুব তাড়াতাড়ি লটারি সম্পন্ন হবে।’ তিনি বলেন, ‘লটারি করার সময় সংগ্রহ কমিটির প্রতিটি সদস্য যেন উপস্থিত থাকেন; বিশেষ করে সংগ্রহ কমিটিতে যিনি কৃষক প্রতিনিধি রয়েছেন তিনি যেন লটারির সময় উপস্থিত থাকেন।’ লটারি করার আগে থেকেই ওয়েটিং লিস্ট করে রাখারও নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি কোনো কৃষক যেন তার স্লিপ মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়াদের নিকট বিক্রি না করেন এজন্য তিনি সাবধান করে দেন।

ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট, নাটোর, পাবনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসকগণ এবং রাজশাহী বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণ বক্তব্য রাখেন।

কৃষি ঋণ খ্যাদ্যমন্ত্রী টপ নিউজ সাধনচন্দ্র মজুমদার

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর