Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লিবিয়ায় নিহত ২৩, আহত ১২ জনের পরিচয় প্রকাশ


২৯ মে ২০২০ ২৩:১৫

ঢাকা: লিবিয়ায় পাচারকারীর স্বজনদের গুলিতে নিহত ২৬ জনের মধ্যে ২৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১১ জনের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়, সাত জনের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। এ ছাড়া গোপালগঞ্জের দুই জন এবং ঢাকা, যশোর ও মাগুরার একজন করে বাংলাদেশি মারা গেছেন লিবিয়ায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২ জন। তাদের মধ্যে মাদারীপুরের চার জন, কিশোরগঞ্জের তিন জন, চুয়াডাঙ্গার দু’জন এবং গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাগুরার রয়েছেন একজন করে।

বিজ্ঞাপন

ওই ঘটনায় আহতদের সঙ্গে কথা বলে লিবিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাসের পক্ষ থেকে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মে) তালিকাটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন- লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে এক পাচারকারীর স্বজনরা

দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়ায় গুলিতে নিহতদের মধ্যে ১১ জনের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। তারা হলেন— রাজৈর উপজেলার বিদ্যানন্দী এলাকার জুয়েল ও মানিক; রাজৈর উপজেলার টেকেরহাটের আসাদুল, আয়নাল মোল্লা ও মনির; রাজৈর উপজেলার ইশবপুর এলাকার সজীব ও শাহীন এবং দুধখালীর শামীম। এছাড়া জাকির হোসেন, ফিরোজ ও জুয়েল নামে আরেকজনের বাড়ী মাদারীপুর হলেও তাদের উপজেলা বা এলাকার নাম জানা যায়নি।

নিহত ২৬ জনের মধ্যে সাত জনের বাড়ি কিশোরগঞ্জ এলাকায়। তাদের মধ্যে ছয় জনের বাড়ি ভৈরব উপজেলায়। তারা হলেন— রাজন, শাকিল, সোহাগ, মো. আলী, শ্রীনগরের সাকিব মিয়া ও রসুলপুরের আকাশ। কিশোরগঞ্জের আরেকজন হলেন রহিম, তার বাড়ি হোসেনপুর উপজেলায়।

এছাড়া গোপালগঞ্জের সুজন ও কামরুল, ঢাকার আরফান, যশোরের রাকিবুল এবং মাগুরার নারায়ণপুর, বিনোদপুর, মোহাম্মদপুর এলাকার লাল চান্দ মারা গেছেন লিবিয়ায় পাচারকারীর স্বজনদের গুলিতে।

আরও পড়ুন- লিবিয়ার কাছে ২৬ বাংলাদেশি হত্যার বিচার চেয়েছি: মন্ত্রী

আহত ১২ জনের পরিচয়

লিবিয়ায় যে ১২ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে মাদারীপুরের চার জন। তারা হলেন— মো. সম্রাট খালাসী (পিতা আব্দুল আলী, মাতা রেকসুনা বেগম; ইশবপুর, রাজৈর), মো. আলী (পিতা মোক্তার আলী, মাতা ফাজিলা বেগম; নারায়ণপুর, কদমবাড়ি, রাজৈর), ফিরোজ বেপাী (পিতা খালেক ব্যাপারী, মাতা রানু বেগম; তীর বাগদি, মাদারীপুর সদর) ও সায়েদুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

কিশোরগঞ্জের আহত তিন জন হলেন— সোহাগ আহমেদ (পিতা আব্দুল আলী, মাতা কাজলী বেগম; মওটুলী, সখিপুর, ভৈরব), মো. সজল মিয়া (পিতা সাবিল উদ্দিন, মাতা রোকেয়া বেগম; জগন্নাথপুর, ভৈরব) ও মো. জানু মিয়া (পিতা সাত্তার মিয়া, মাতা মোস্তফা বেগম; শম্ভুপুর, ভৈরব)।

চুয়াডাঙ্গার যে দু’জন আহত হয়েছেন, তারা হলেন— বাপ্পী মিয়া ও বকুল হোসাইন (পিতা হোসেন মন্ডল, মাতা মোমিনা খাতুন; খেজুরতলা, বেলগাছি, আলমডাঙ্গা)। আহত বাকিরা হলেন— ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা দুল কান্দি এলাকার মো. সাজিদ (পিতা বেলায়েত, মাতা সাগরী বেগম), গোপালগঞ্জের মোকছেদপুর বামনডাঙ্গা এলাকার ওমর শেখ (পিতা কালাম শেখ, মাতা শহিদা বেগম) এবং মাগুরা নারায়ণপুর, বিনোদপুর, মোহাম্মদপুর এলাকার তরিকুল ইসলাম (পিতা ফুল মিয়া মোল্লা, মাতা আয়েশা বেগম)।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত বাকি তিন জনের পরিচয় জানতেও অনুসন্ধান চলছে। তাদের পরিচয় পাওয়ামাত্র সবাইকে জানানো হবে।

আরও পড়ুন-

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যার বিচার দাবি সিজিসিএম’র

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগ

২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা লিবিয়ায় নিহত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর