করোনা সংক্রমণের ৬ মাস: ‘শিগগিরই মুক্তি মিলছে না’
৩০ জুন ২০২০ ২৩:১১
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার ছয়মাস পূর্ণ হয়েছে।বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতির অবসান হোক, তা সকলেই চাইছেন। কিন্ত, কঠিন বাস্তবতা এই যে বৈশ্বিক মহামারি’র কবল থেকে শীগগিরই বিশ্ববাসীর মুক্তি মিলছে না – এমনটাই বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাই।
সোমবার (২৯ জুন) ডব্লিউএইচও’র নিয়মিত ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
"Tomorrow marks six months since WHO received the first reports of a cluster of cases of pneumonia of unknown cause in #China.
The six-month anniversary of the outbreak coincides with reaching 10 million #COVID19 cases and 500 thousand deaths"-@DrTedros
— World Health Organization (WHO) (@WHO) June 29, 2020
এদিকে, বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারিতে মারা গেছেন পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ। তবুও, এ ভাইরাসের সুতীব্র রূপ এখনও প্রকাশিত হয়নি – বলছেন ডব্লিউএইচও’র ডিজি।
তিনি বলেন, কিছু কিছু দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হলেও মহামারি দ্রুত থেকে দ্রুততম সময়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। মহামারিতে ঝরে যাওয়া প্রতিটি প্রাণের মূল্যই অপরিসীম কিন্তু সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের থেকে সংক্রমণ বিরল: ডব্লিউএইচও
যাত্রা শুরু করল ডব্লিউএইচও ফাউন্ডেশন
তিনি আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় দেশগুলো যথোপযুক্ত পদক্ষেপ না নিতে পারলে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। আরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের শিকারে পরিণত হবে।
এছাড়াও, প্রচুর পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা আক্রান্তদের শনাক্তকরণ, দ্রুত আইসোলেশন ও কঠোর কোয়ারেনটাইন ব্যবস্থায় ওপর আবারও গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রগুলোকে রাজনীতিকরণের উর্ধ্বে উঠে এই সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে।
পাশাপাশি, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ডব্লিউএইচও তাদের সাড়াদান কার্যক্রম সংক্রান্ত টাইমলাইন সংস্থাটির ওয়েবসাইট থেকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করেছে।
করোনার ‘জীবনরক্ষাকারী ওষুধ’ সংশ্লিষ্টদের ডব্লিউএইচও’র অভিনন্দন
করোনার ব্যাপারে কত কী এখনো আমাদের ‘অজানা’: ডব্লিউএইচও
এদিকে, মঙ্গলবার (৩০ জুন) এ প্রতিবেদন লেখা অবধি বিশ্বে এক কোটির চার লাখ ৩৫ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখ আট হাজার ৫৪৭ জনের। চিকিৎসা নিয়ে নিয়মিত জীবনে ফিরে গেছেন ৫৬ লাখ ৯৩ হাজার ৪৬১ জন।
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যায় প্রথমস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ২৫ লাখ, মারা গেছেন ১ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণ ব্রাজিলে। এছাড়াও, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ওই তালিকার শীর্ষ চারে অবস্থান করছে।
পৃথিবী পুরোপুরি করোনামুক্ত হবে না: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
রাজনীতিকরণে করোনা মহামারি আরও বেড়েছে: ডব্লিউএইচও
Covid19Pandemic কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)