‘অপরাধ ঢাকতে নতুন কৌশল নিয়েছিল রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ’
৭ জুলাই ২০২০ ১২:৪৬
ঢাকা: র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেছেন, গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন ধরণের প্রতারণা নিয়ে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে থাকলে নিজেদের অপরাধ ঢাকতে নতুন কৌশল নিয়েছিলো রিজেন্ট। যখন আমরা বিভিন্নজনের কাছ থেকে এসব অভিযোগ পাচ্ছিলাম তখন রিজেন্ট কর্তৃপক্ষ এটা গোপন করার জন্য গত পরশু একটা প্রেস কনফারেন্স করে। সেখানে তারা বলে, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসবের জন্য দায়ী না। রিজেন্ট হাসপাতালের ৩ জন কর্মী এর সঙ্গে জড়িত।’
সোমবার (৬ জুলাই) উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
অভিনব এই কৌশলের বিষয়ে সারোয়ার আলম বলেন, ‘নিজেদের নিরপরাধ প্রমাণ করতে গতকালকে (৫ জুলাই) এক মাস সাত দিন আগের ব্যাকডেট দিয়ে তিন কর্মচারীকে বরখাস্ত করে রিজেন্ট। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একটা সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করে তারা। অথচ আমরা দেখলাম ওই তিন কর্মী গত দেড়মাস অফিস করেছে, হাজিরা দিয়েছে। রিজেন্ট কর্তৃপক্ষ ফ্লুইড দিয়ে তাদের হাজিরা খাতার স্বাক্ষরগুলো মুছে দিয়েছে।’
প্রতারণার শেষ নেই রিজেন্টের: রক্তের নমুনা নিয়ে ইসিজি পরীক্ষা!
তিনি আরও বলেন, “শুধু তাই না, রিজেন্ট কর্তৃপক্ষ এই তিন কর্মচারীকে বলেছে যে, ‘আপনারা চাকরি করেন কোনো সমস্যা নেই, আমরা আপনাদের আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসব।’ তার মানে কর্তৃপক্ষ স্টাফদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করার চেষ্টা করেছে। এই সমস্ত অপরাধ ও টাকার নিয়ন্ত্রণ চেয়ারম্যান নিজে করত।”
লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরেও হাসপাতালের অনুমতি পাওয়া বিষয়ে সারোয়ার আলম বলেন, ‘ক্রাইসিস মুহূর্তে যখন একটি বেসরকারি সংস্থা বিনামূল্যে সেবা দিতে চাইবে, সরকার অবশ্যই তাদের ওয়েলকাম করবে। সরকার তাই করেছে। লাইসেন্সের চেয়ে মুখ্য ছিল সেবা দেওয়া।’
অভিযানে রিজেন্টের ৮ জন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
আরও পড়ুন:
পরীক্ষা ছাড়াই করোনার রিপোর্ট দিত রিজেন্ট হাসপাতাল
কোভিড চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণা: রিজেন্ট হাসপাতালে র্যাবের হানা
মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স নিয়েই রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা!
সারাবাংলা/এসবি/এমও