বিজ্ঞাপন

মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স নিয়েই রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা!

July 4, 2020 | 3:22 pm

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: হাসপাতালের একটি শাখার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে ছয় বছর আগে, আরেকটি শাখার তিন বছর আগে। তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি পেয়েছিল রিজেন্ট হাসপাতাল। অধিদফতরের পক্ষ থেকে লাইসেন্স নবায়নের তাগিদ দেওয়া হলেও তারা নবায়ন করেনি। বরং সেখানে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা নিয়েই রয়েছে অভিযোগ। যারা হাসপাতালটিতে গেছেন, তারা বলছেন চিকিৎসার চেয়ে ভোগান্তিই বেশি পোহাতে হয়েছে। করোনা পরীক্ষা থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে আছে প্রতারণার অভিযোগ। সরকারি প্রতিষ্ঠানের নমুনা পরীক্ষার ফল জানানোর সনদ জাল করে ফল দেওয়ার অভিযোগও আছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলার অনুসন্ধানে এসব প্রতারণা ও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। যদি রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, কোনো এক প্রতারক চক্র প্রতিষ্ঠানটির নাম ব্যবহার করে এসব প্রতারণা করছে। লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার বিষয়টিও অস্বীকার করছেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান।

৬ বছর আগেই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স আপডেট করা হয়ে থাকে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে। প্রতিষ্ঠানটিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যেকোনো বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স দেওয়া হয় একবছরের জন্য। এক্ষেত্রে বছরের যেকোনো সময়েই নেওয়া হোক না কেন, অর্থবছর হিসাব করে ৩০ জুন লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫০ শয্যার রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখার (ঠিকানা- বাড়ি#৩৮,রোড#১৭,সেক্টর#১১, উত্তরা, ঢাকা) লাইসেন্স দেওয়া হয় ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর। এই হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৪ সালের ৩০ জুন। রক্ত সঞ্চালনা কার্যক্রম ছাড়া এই শাখায় প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের লাইসেন্স (নং-৭৮৭৬) দেওয়া হয় ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর। এই লাইসেন্সের মেয়াদও শেষ হয় ২০১৪ সালের ৩০ জুন। অর্থাৎ ছয় বছর আগেই রিজেন্ট হাসপাতাল উত্তরা শাখার সব লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

একইভাবে ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ রিজেন্ট হাসপাতালের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট মিরপুর শাখার (১৪/১১, মিতি প্লাজা, মিরপুর-১২, ঢাকা) লাইসেন্স দেওয়া হয়, যার মেয়াদ শেষ হয় ২০১৭ সালের ৩০ জুন। অর্থাৎ মিরপুর শাখাটির মেয়াদও শেষ হয়েছে তিন বছর আগে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আমিনুল হাসান সারাবাংলাকে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। তাদের কাগজপত্র আপডেট করার বিষয়েও জানানো হয়েছে। তবে তাদের কাগজপত্র এখনো আপডেট হয়নি।

বিজ্ঞাপন

লাইসেন্স না থাকলেও একটি হাসপাতাল কিভাবে কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিতে এসেছে— এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. আমিনুল বলেন, প্রথমদিকে আসলে খুব কম হাসপাতালই রাজি হয়েছিল কোভিড রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য। রিজেন্ট হাসপাতাল এগিয়ে আসে বলেই তাদের অনুমতি দেওয়া হয়। ওই সময় তাদের লাইসেন্স নবায়ন করে নিতে বলা হয়েছিল। তবে তাদের লাইসেন্স নবায়ন না হওয়ার বিষয়ে আমরা অবগত আছি।

তবে লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার বিষয়টি স্রেফ অস্বীকার করেনে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, লাইসেন্স না থাকলে তো স্বাস্থ্য অধিদফতর আমাদের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই করত না। তারা এটা দেখেশুনেই করেছে।

কোভিড-১৯ চিকিৎসায় যেভাবে দৃশ্যপটে রিজেন্ট হাসপাতাল

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এ সময় সরকারিভাবে তিনটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলা হয়। পরে রিজেন্ট হাসপাতালের দুইটি শাখা ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমঝোতা চুক্তি সই হয় কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে। এই তিনটি হাসপাতালের প্রতিটিতে ৫০ শয্যা করে ১৫০ শয্যা প্রস্তুত রাখার কথা জানানো হয় স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়েও। বলা হয়, এসব হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। আর চিকিৎসাসেবা চালিয়ে নেওয়ার জন্য এই হাসপাতালগুলোতে সরকারি চিকিৎসকদেরও পদায়ন করা হয়।

গত ২১ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডা. মো. আমিনুল হাসানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জরুরি ভিত্তিতে করোনাজনিত জটিলতা মোকাবিলার জন্য বেসরকারি পর্যায়ের হাসপাতালের লোকবল ও এমএসআর প্রদান প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার জন্য অনুরোধ করা হয়। এতে জানানো হয়, করোনাজনিত জটিলতা মোকাবিলার জন্য সচিবের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের দুইটি হাসপাতাল পরিদর্শন করা হয়। প্রতিটি হাসপাতাল ৫০ শয্যার। প্রতিটিতে তিন বেডের আইসিইউ ও রোগ নির্ণয়ের সুবিধাসহ জনবল আছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সংযুক্তিতে বর্ণিত তালিকা অনুযায়ী অল্প কিছু লোকবল প্রয়োজন। এমএসআর ও ডায়েটের জন্য কুর্মিটোলা হাসপাতালের বর্ধিত অংশ হিসেবে কুর্মিটোলার কোডের বিপরীতে অর্থ দেওয়া যেতে পারে, যা এর আগে মহানগর ও লালকুঠি মিরপুর হাসপাতালের জন্য করা হয়েছে। জরুরিভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এ বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।

বিজ্ঞাপন

ডা. আমিনুল হাসান সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ২৩ মার্চ আরেক চিঠিতে হাসপাতাল দু’টিতে একজন করে ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন অথবা অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের জনবল সংযুক্তির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার জন্য অনুরোধ করেন।

এরপর ৩০ এপ্রিল অধিদফতরের হাসপাতাল বিভাগের পরিচালককে লেখা চিঠিতে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ লিখেন, কোভিড চিকিৎসায় নিয়োজিত হাসপাতালের রোগী, রোগীর চিকিৎসাসেবা প্রদানে নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবারের খরচ বহন করা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে সবার খাবারের খরচ বহন করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন চিঠিতে। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অধিদফতরের হাসপাতাল বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়।

১২ মে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যানের সই করা আরেক চিঠিতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে তারা সরকারের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পাচ্ছেন বলে জানানো হয়। চিঠিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান লিখেন, এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ১১ জন ডাক্তার ও ৯ জন নার্স আমি পেয়েছি। আইসিইউ বা ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটের জন্য আমাদের আরও ২০ জন ডাক্তার ও ৩৯তম বিসিএসে সদ্য যোগ দেওয়া মেডিক্যাল অফিসারদের মধ্যে থেকে ১৫ জন মেডিক্যাল অফিসার প্রয়োজন। আরও ১৫ জন নার্স প্রয়োজন। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে চিকিৎসকদের আবাসন ও খাবারের বিষয়টি সরকারকে নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে। বিকল্প হিসেবে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সঙ্গে এর ব্যয়ভার সংযোজন করার অনুরোধ জানান তিনি।

তবে এর ৪ দিন পরই ১৬ মে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) বরাবর লেখা এক চিঠিতে সরকারিভাবে পাঠানো চিকিৎসকদের হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান মো. সাহেদ।

অভিযোগ নানামুখী

এর আগের দিন ১৫ মে সরকারিভাবে নিযুক্ত দু’জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বরাবর আলাদা দুইটি চিঠিতে রিজেন্ট হাসপাতালের বিভিন্ন ত্রুটি বিষয়ে অবগত করেন। তারা হাসপাতালে থাকা চারটি আইসিইউতে ত্রুটিপূর্ণ সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও তিনটি ভেন্টিলেটর থাকার কথা জানান। এছাড়াও আইসিইউতে দক্ষ জনবল না থাকা ও জরুরি কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার ব্যবস্থা না থাকার কথাও জানান তারা। ওষুধ ও সুরক্ষা সামগ্রীর ঘাটতির বিষয়েও জানানো হয় চিঠিতে। প্রয়োজনীয় উপকরণ ও জনবল না পাওয়ার বিষয়ে হাসপাতাল চেয়ারম্যানকে জানানো হলে তিনি চিকিৎসককে হুমকি ও ভয় দেখানোর কথা উল্লেখ করে বাজে ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসকরা।

সরকারিভাবে ১৬ মে পর্যন্ত চিকিৎসক নিয়োগ থাকলেও রিজেন্ট হাসপাতালে বিভিন্ন সময় রোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চিকিৎসা করানো হতো রিজেন্ট হাসপাতালে। একইসঙ্গে আছে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। এই হাসপাতালে কেবল ভর্তি থাকা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করানোর অনুমতি থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা বাসায় গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করাতেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানের সনদ জাল করে নমুনা পরীক্ষার ফল জানানোর অভিযোগও আছে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগ গেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরে। এ বিষয়ে একাধিক প্রমাণ আছে এই প্রতিবেদকের কাছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আমিনুল হাসান সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের কাছে যতবার অভিযোগ এসেছে, ততবারই আমরা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে ফোন করে জানিয়েছি। তারপরও কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে দেখিনি। রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে আমাদের চিঠি চালাচালি অনেক হয়েছে, এটা সত্যি। প্রথমদিকে আসলে এই হাসপাতালটি এগিয়ে আসায় আমরা চিকিৎসাসেবা দেওয়ার বিষয়ে রাজি হই। পরে নানা অনিয়মের কারণে তাদের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা চুক্তিতে পরিবর্তন আনতে হয়।

এদিকে, গত ১ জুন রিজেন্ট হাসপাতাল চেয়ারম্যান মো. সাহেদের সই করা এক চিঠিতে হাসপাতালের উত্তরা শাখায় ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও মিরপুর শাখায় এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকা দিতে অনুরোধ করা হয়। হাসপাতালের দুই শাখার মাসিক খরচ হিসেবে ‍উল্লেখ করা হয় টাকার এই অঙ্ককে। এসময় সমঝোতা স্মারক সংশোধন করে আগের সমঝোতার তারিখ থেকে এই খরচ রিজেন্ট হাসপাতালকে দিতে অনুরোধ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদফতরের পরিচালক ডা. আমিনুল বলেন, তারা আমাদের কাছে বিল চেয়েছে, কিন্তু আমরা তো আর দেইনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমরা আমাদের চিকিৎসকদের প্রত্যাহার করে নেই। তবে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে প্রাথমিক সমঝোতা চুক্তিতে কী ছিল, তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি ডা. আমিনুল হাসান।

এদিকে, সরকারি সাহায্য পাওয়ার কথা অস্বীকার করে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ সারাবাংলাকে বলেন, সরকারের কাছ থেকে চিকিৎসক আমি কোনোদিনই পাইনি। একদিনের জন্য চিকিৎসক দিয়েছিল, তারপরে আর কোনোকিছু পাইনি।

দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষা ও করোনা চিকিৎসা নিয়ে বেশকিছু চক্রের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া যায়। এরকমই একটি প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট হাসপাতাল। নমুনা পরীক্ষা ও করোনা চিকিৎসাসহ চিকিৎসা বিষয়ক বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্সেরই মেয়াদ নেই! সারাবাংলার অনুসন্ধানে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এমন অনেক অভিযোগই উঠে এসেছে, যার কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে। রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণা নিয়ে পড়ুন সারাবাংলার তিন পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব

সারাবাংলা/এইচআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন