ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ: মজনুর বিচার শুরু, সাক্ষ্য ৯ সেপ্টেম্বর
২৬ আগস্ট ২০২০ ১৪:৩৫
ঢাকা: রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনার দায়ের করা মামলায় আসামি মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এরই মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার কাজ অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
বুধবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল-৭-এর বিচারক কামরুন্নাহারের ভার্চুয়াল আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করে দেন।
এদিন আসামি মজনুকে আদালতে সশরীরে হাজির করা হয়নি। কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত করে তাকে আদালতে হাজির দেখানো হয়। এসময় আসামি মজনুর পক্ষে কোনো আইনজীবীও ছিলেন না। আদালত মজনুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তাকে পড়ে শোনান। এরপর মজনুর কাছে জানতে চান, তিনি দোষী না নির্দোষ। মজনু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন-
-
- সব আলামত মিলছে ধর্ষক মজনুর সঙ্গে: ডিবি
- গ্রেফতার মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট: র্যাব
- শিশু, প্রতিবন্ধী ও নারী ভিক্ষুকদের টার্গেট করতো মজনু
- র্যাবের হাতে গ্রেফতার ধর্ষক, শনাক্ত করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থী
- ধর্ষক মজনু ৪০০ টাকায় বিক্রি করে ঢাবি শিক্ষার্থীর মোবাইল
- ডিএনএ পরীক্ষায় মজনুর ধর্ষণের আলামত মিলেছে: সিআইডি
- ধর্ষক গ্রেফতারে স্বস্তি ফেরেনি, সর্বোচ্চ শাস্তি চান ঢাবি শিক্ষার্থীরা
- অ্যাজমার কারণে ঢাবি’র মেয়েটিকে সহজেই কাবু করে ধর্ষক মজনু
ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল-৭ এর বিচারক কামরুন্নাহার মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করে গত ১৬ আগস্ট শুনানির জন্য এ তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।
এর আগে গত ১৬ মার্চ মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আবু সিদ্দিক ঢাকা মহানগর মুখ্য হকিম (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ চার্জশিট জমা দেন। মামলার চার্জশিটে ১৬ জনকে সাক্ষীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলাটি তদন্তের জন্য গত ৬ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের কাছ থেকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন দুপুরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। এর আরে দিন সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার হন ওই শিক্ষার্থী।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ওই শিক্ষার্থী তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা দেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানার কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ডে থামে। পরের স্টপেজে নামার কথা থাকলেও ওই শিক্ষার্থী অন্ধকারে স্থান বুঝতে না পেরে সেখানেই নেমে পড়েন। পরের স্টপেজে গিয়ে ফুটওভারব্রিজে ওঠার জন্য ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যেতে থাকেন। এ সময় সুযোগ বুঝে তাকে জাপটে ধরেন এক ধর্ষক। এরপর ফুটপাতের পাশের ঝোঁপে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
জানা যায়, ধর্ষণের পর ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন, একটি হাত ঘড়ি এবং নগদ দুই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন আসামি মজনু। ঘটনার রাতেই ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখাতে সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা হয়।
এ ঘটনা তদন্ত করতে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে জানা যায়, র্যাব সম্ভাব্য তিন আসামিকে নজরদারিতে রেখেছে। সে রাতেই ছিনতাই, রাহাজানি ও চুরির মতো অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত মাদকাসক্ত মজনুকে গ্রেফতার করে র্যাব। ৮ জানুয়ারি দুপুরে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে র্যাবের মিডিয়া শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম জানান, মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট।
অভিযোগ গঠন আসামি মজনু চার্জগঠন ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ বিচার শুরু