বিএসটিআই’র কার্যক্রম সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে: শিল্পমন্ত্রী
১৪ অক্টোবর ২০২০ ১৬:১৬
ঢাকা: শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি বলেছেন, সারাদেশে জেলা উপজেলা পর্যায়ে পণ্যের গুনগত মান নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য দেশের বড় বড় জেলাগুলোতে আধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করতে হবে। যাতে স্বল্প সময়ের মধ্যে পণ্যের সঠিক মান যাচাই করা সহজ হয়। সেজন্য বিএসটিআই’র কার্যক্রম সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ব মান দিবস ২০২০ উপলক্ষে রাজধানী তেজগাঁও বিএসটিআই কার্যালয়ে আয়োজিত ‘শিল্পখাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নঃ নিরাপদ ও টেকসই পৃথিবী গড়তে মান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ড. মো: নজরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, শিল্প সচিব একেএম আলী আজম, বিএসটিআই’র পরিচালক বেগম নীলুফা হক।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যে জায়গায় উন্নীত হয়েছে, সেই স্থানে আমাদের পণ্যের মানকে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মানুষ এখন স্বাস্থ্য সচেতন। এই অবস্থায় পণ্যের গুনগত মান বজায় রাখতে না পারলে আমরা আন্তর্জাতিক বাজার হারাবো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যাতে সব ধরনের পণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকে সেজন্য বিএসটিআইকে আরও আধুনিকায়ন করতে হবে। সরকার বিএসটিআইকে আধুনিকায়ন করতে সব ধরনের কাজ করবে। সেজন্য নতুন নতুন ল্যাব স্থাপনসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করবে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, সব ধরনের ভেজালের বিরুদ্ধে বিএসটিআইকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। কোন প্রতিষ্ঠান যাতে ভেজালপণ্য বাজারজাত করতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, কতিপয় অসৎ ব্যবসায়ী জনগণকে ধোকা দিয়ে মানহীন পণ্য বাজারজাত করছে। বিএসটিআইতে এসব পণ্যের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, বিএসটিআই’র ফান্ডে জমা থাকা প্রতিষ্ঠানটির ২৪০ কোটি টাকা নেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় পায়তারা করছে। এই টাকা কোনভাবেই অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেয়া ঠিক হবে না। বরং এই টাকা দিয়ে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দেশের বৃহত্তর ২২ জেলায় নতুন নতুন ল্যাব স্থাপন করতে হবে। যাতে করে জনগণকে খাদ্যের ভেজাল থেকে রক্ষা করা যায়। বিএসটিআই’র কার্যক্রম সারাদেশের জেলা উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ করতে হবে।
এফিবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বিএসটিআই’র পরীক্ষার মান যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে পরীক্ষা করা পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রফতানি করার পর যাতে মান নিয়ে কোন প্রশ্ন না দেখা দেয়।
তিনি বলেন, আমরা এলডিসি থেকে বের হয়ে আগামিতে মধ্যম আয়ের দেশে যাত্রা করতে যাচ্ছি। এই সময়ে আমাদের উন্নতির পাশাপাশি পণ্যের গুনগত মানও নিশ্চিত করতে হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত সাহায্যে সহযোগিতার পরিমাণ জিডিপি‘র ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, এখনো কৃষি ও এসএমই খাতে প্রনোদনা অর্থ ব্যাংকগুলোর অসহযোগিকতার কারণে ছাড় দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই দুই খাতে মাত্র ২০ শতাংশ অর্থ ছাড় করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে বিএসটিআই‘র মহাপরিচালক ড. এম নজরুল আনোয়ার বলেন, জনগণকে ভেজালমুক্ত পণ্য সরবরাহে সারাদেশে বিএসটিআই কাজ করে যাচ্ছে। দিন দিন এই কাজের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে।