নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নারী নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার ৪ নম্বর আসামি ইস্রাফিল হোসেন ওরফে মিয়া (২২) চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
বুধবার (২১ অক্টোবর) আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে ৭ জন এজাহারভুক্ত আসামিসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইস্রাফিল হোসেন মধ্য একলাশপুর গ্রামের মোহর আলী মুন্সী বাড়ির আমিন উল্যার ছেলে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী বলেন, ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকা ইস্রাফিল বুধবার বিকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২ নম্বর আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাশফিকুল হক শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তিনি আরও জানান, ইস্রাফিলের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। পরবর্তী তারিখে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে। গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলা দুটি পিবিআই তদন্ত করছে। গৃহবধূর করা ধর্ষণ, র্যাবের করা বিস্ফোরক ও অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলা তিনটি বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন:
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার
বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতন: মেম্বার ও মামলার ৫নং আসামি গ্রেফতার