Saturday 07 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পদ্মা সেতুর কাজে বিঘ্ন, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে ফের বন্ধ ফেরি


২৬ অক্টোবর ২০২০ ১৭:৫২ | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২০ ২০:৫৫
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুন্সীগঞ্জ: নাব্য সংকটে পদ্মার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ১১দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার সকালে বিকল্প চ্যানেলে সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছিল। তবে বিকল্প চ্যানেল দিয়ে পদ্মা সেতুর প্রকল্পের অধীনে থাকা বিদ্যুতের টাওয়ার নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ক্রেন ও গুরুত্বপূর্ণ নৌযান চলাচল বন্ধসহ সেতুর কাজে জটিলতা তৈরি হয়। এতে চালুর মাত্র ৫ ঘণ্টার মাথায় বেলা ১১টায় আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ করে বিআইডাব্লিউটিসি।

বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলাঘাটে সহ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, সোমবার সকাল ৬টায় মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ফেরি কিশোরী ও ফেরী কাকলি। ফেরিগুলো নদীর লৌহজং পয়েন্ট পদ্মা সেতুর ৩৭-৩৮নং পিয়ারের মাঝ দিয়ে বিকল্প চ্যানেলে পদ্মা পারি দেয়। পরে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকেও ২টি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে আসে। কিন্তু বেলা ১১টার দিকে পদ্মা সেতুর কাজে বিঘ্ন হচ্ছে বলে জানায় সেতু কর্তৃপক্ষ। এরপরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

১১ ‍দিন পর শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে ফেরি চলাচল শুরু

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বিআইডাব্লিউটিসির ফেরিগুলো সেতুর পাশ দিয়ে চ্যানেলে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়ছিলো। তবে তারা সে চ্যানেল ব্যবহার না করে, অনুমতি না নিয়েই বিকল্প চ্যানেল বিদ্যুৎ লাইনের রুট দিয়ে চলাচল করছিলো। এতে সেতু প্রকল্পের অধীনে থাকা নির্মাণাধীন ৪০০কেভিএ বিদ্যুৎ টাওয়ারের কফারড্যামবাহী ৫০০টন ওজনের ক্রেনসহ সেতুর কাজে গুরুত্বপূর্ণ নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুটিই সরকারি কাজ, সেতুর কাজে জটিলতা তৈরি হওয়ায় তাদের জানানো হয়েছে। তারা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পেলে অবশ্যই চ্যানেলটি ব্যবহার করতে পারবে।

উল্লেখ্য, নাব্য সংকট ও চ্যানেল বিপর্যয়ের কারণে কয়েক মাস ধরে ফেরি চলাচল ব্যহত হলেও গত ১৫ অক্টোবর দুপুর থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে পুরোপুরি বন্ধ ছিলো ফেরি চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে এ নৌরুটের লাখো যাত্রী।

ফেরি চলাচল বিআইডাব্লিউটিসি বিকল্প চ্যানেল