‘ভারত ১ মাস আগে জানালে পেঁয়াজ নিয়ে এমনটা হতো না’
১ নভেম্বর ২০২০ ২১:১১
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পেঁয়াজ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কিন্তু এখানে কারও কিছু করার নেই। আমাদের চাহিদার তুলনায় ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির ৯০ শতাংশের যোগানদাতা ভারত। কিন্তু তারা হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগেও এটা হয়েছিল। এজন্য আমরা তাদের অনেক বকাবকি করেছি। ভারত এক মাস আগে জানালে এমনটা হতো না। আমরা প্রস্তুতি নিতে পারতাম।
রোববার (১ নভেম্বর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আগামীতে পেঁয়াজে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারব। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আজও (১ নভেম্বর) বৈঠক করেছি।’ পেঁয়াজ ও আলুর দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতের কলকাতাতে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৫ টাকা আর পেঁয়াজ ১১০ টাকায়। আমাদের এখানেও আলু-পেঁয়াজের দাম বেশি, সেখানেও একই অবস্থা। কারণ, এই সময়ে ঘাটতি দুই দেশেই আছে। তবে সমস্যা সমাধানে আমরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসার পর পরই তারা পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। ইতোমধ্যে আমদানি করা পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘করোনাকালে প্রণোদনা, সহযোগিতা-সহায়তা না দিলে তৈরি পোশাক খাতকে উদ্যোক্তারা সামাল দিতে পারতেন না। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ সময়ে যখন সব কিছু স্থবির হয়ে পড়েছিল তখনও আমাদের দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশের অর্থনীতি প্রতিবেশী অন্য সব দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে ছিল। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বের কারণে।’
তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে দেশটা অনেক এগিয়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। বিশ্বের সব সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, দেশের অর্থনীতি প্রতিবেশী অন্য সব দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে। তবে আমরা একেবারেই বিপদমুক্ত না, কিছুটা হয়তো ঝুঁকিও রয়েছে। তারপরও অনেক ভালো অবস্থানে আছি আমরা। আমাদের ইতিবাচক দিকটাকে লিখিত আকারে তুলে ধরতে হবে। আমরা এটা করলে সমালোচনা হবে, বলা হবে একতরফা। তাই সত্যটাকে লিখিত আকারে তুলে ধরতে গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি।’
রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে সংগঠনের সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম, জুরি বোর্ডের প্রধান রয়টার্স’র সাবেক ব্যুরো চিফ সিরাজুল ইসলাম কাদির এবং ইআরএফ’র প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক শামসুল হক জাহিদ প্রমুখ।