ঢাকা: অফিস চলাকালীন সরকারি হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক বেসরকারি কোনো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকতে পারবেন না বলে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের টাস্কফোর্স কমিটি। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো কারণে যদি কেউ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় থাকে, তাহলে সেটি টাস্কফোর্স ও সংশ্লিষ্টদের অবগত করতে হবে। একইসঙ্গে অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স আবেদন গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাস্কফোর্স।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জনস্বাস্থ্য-১ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টাস্কফোর্স কমিটির অন্য সদস্যদের উপস্থিতিতে আয়োজিত সভায় চারটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অফিস সময়ে সরকারি হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকতে পারবেন না। কোনো কারণে কর্মরত অবস্থায় থাকলে সে বিষয়ে টাস্কফোর্স ও সংশ্লিষ্টদের অবগত করতে হবে।
টাস্কফোর্সের সভায় বাকি তিনটি সিদ্ধান্তই হয়েছে বেসরকারি লাইসেন্স-ক্লিনিকগুলো নিয়ে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাব বা ক্লিনিকগুলিতে লাইসেন্স নিবন্ধন নম্বর স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। টাস্কফোর্স সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত যেসব বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নিয়েছে, তাদের বাইরে অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স আবেদন গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিদর্শন বা অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্তও নিয়েছে টাস্কফোর্স।
সভায় টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব শিব্বির ওসমানী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা, যুগ্মসচিব সালমা তানজিয়াসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।ৎ