ব্যবসায়ীকে খুন করে সাগরপাড়ে ফেলে যান ৪ ‘মাদকাসক্ত’ যুবক
২২ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:৪১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানা এলাকায় সাগরপাড় থেকে খুন হওয়া ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতারের পর তারা আদালতে জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মাদকাসক্ত অবস্থায় চার যুবক ওই ব্যবসায়ীকে খুন করেন।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া।
গ্রেফতার চারজন হল- নুর হোসেন বাবু (২৩), সাইফুল ইসলাম (১৯), পরিতোষ ঋষি প্রকাশ ইসলাম হোসেন ইমন (২০) এবং মেহেদী হাসান সোহেল (১৯)।
গত ১৯ ডিসেম্বর সকালে নগরীর ইপিজেড থানার খেজুর তলা এলাকায় আউটার রিং রোডের পাশে বঙ্গোপসাগরের পাড় থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত মো. আলমগীরের (৪৫) বাসাও খেজুরতলা এলাকায়। তিনি ইট, বালু, সিমেন্ট সরবরাহের ব্যবসা করতেন। তাকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। এ ঘটনায় আলমগীরের ছেলে আরমান হোসেন বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওসি উৎপল বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চারজনকে আমরা শনাক্ত করে গ্রেফতার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, আলমগীর পতেঙ্গা থানার ১২ নম্বর এলাকার ড্রেজার থেকে বালি কিনে ঠিকাদারদের কাছে সরবরাহ করতেন। ওই এলাকায় আসামিরা বিভিন্ন ছোটখাট কাজ করতেন। নুর হোসেনের সঙ্গে আলমগীরের ভালো সখ্য ছিল। তারা চারজনই নিয়মিত গাঁজা সেবন করত। ঘটনার রাতে তারা যেখানে গাঁজা সেবন করছিল সেখানে গিয়ে হাজির হন আলমগীর। এসময় নুর হোসেনের সঙ্গে প্রথমে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে মারামারি শুরু হলে তারা আলমগীরকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে সাগরের পাড়ে ফেলে পালিয়ে যায়।’
তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা আরও জানিয়েছে- আলমগীর মানসিক বিকারগ্রস্ত লোক ছিলেন। নুরের মাধ্যমে শিশু-কিশোর সংগ্রহ করে তাদের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারে মেতে উঠতেন আলমগীর। ঘটনার রাতে গাঁজা সেবনরত চারজনের একজনকে ওই উদ্দেশে ধরে ফেলেন আলমগীর। তখন ক্ষুব্ধ হয়ে চারজন মিলে তাকে হত্যা করে।