আনুশকা ধর্ষণ-হত্যা: দিহানের তিন বন্ধুকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ
৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:৫৩
ঢাকা: রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকা নুর আমিনকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ইফতেখার ফারদিন দিহানের তিন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, ঘটনার দিন ৭ জানুয়ারি রাতে তাদের জড়িত সন্দেহে তাদের আটক করেছিল পুলিশ।
উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন বলেন, ‘যেহেতু মূল আসামি দিহান ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে যে, সে একাই জড়িত তাই আটক তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সংশ্লিষ্টতাও পাওয়া যায়নি। গতকাল শুক্রবার রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’
আনুশকার বয়স বাড়িয়ে দিহানের শাস্তি কমানোর ‘অপতৎপরতা’!
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পরে তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।
মামলার একমাত্র আসামি ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থী দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তার বাসায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। অফিস থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছেন। হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন:
- আনুশকাকে ধর্ষণ পূর্বপরিকল্পিত— জিজ্ঞাসাবাদে দিহান
- মাস্টারমাইন্ড শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৪ সহপাঠী আটক
- মাস্টারমাইন্ডের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: দিহানের দোষ স্বীকার
- ধর্ষণের পর হত্যায় দিহানের দোষ স্বীকার, পাঠানো হলো কারাগারে
- ‘আনুশকা ধর্ষণের শিকার কিনা তা ফরেনসিক পরীক্ষায় জানা যাবে’
- বিকৃত যৌনাচারের শিকার ছিলেন আনুশকা, রক্তক্ষরণে মৃত্যু: ফরেনসিক