Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উত্তাপ ছড়ালেন কাউন্সিলর প্রার্থীরাই, প্রাণও গেল একজনের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৭ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:২৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নির্বাচনপূর্ব আশঙ্কাকে সত্যি করে দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ভোটে উত্তাপ ছড়িয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মেয়র পদে মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির শাহাদাত হোসেনের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ এসেছে। শাহাদাত তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তবে দৃশ্যত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শক্ত অবস্থানের বিপরীতে মাঠে দেখা যায়নি বিএনপির নেতাকর্মীদের।

বিজ্ঞাপন

সে অর্থে মেয়র পদের জন্য ভোটের লড়াইয়ের চিত্র অনেকটাই নিষ্প্রাণ থাকলেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। সেই সংঘাতে প্রাণ গেছে একজনের। নগরীর ৩৯ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোট হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক ওয়ার্ডেই কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়েছে। দুয়েকটি ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীরাও শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করেছেন। আটকও হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত এক কাউন্সিলর প্রার্থী।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়। গণনা শেষে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়ামে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী কেন্দ্র থেকে ফলাফল ঘোষণা করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

চসিক নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল তুলনামূলকভাবে কম

নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার রেজাউল করিম ও ধানের শীষের শাহাদাত হোসেনসহ ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৫৭ জন। সাধারণ কাউন্সিলর নির্বাচন দু’টি ওয়ার্ডে হয়নি। বাকি ৩৯টি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৬৯ জন প্রার্থী। নগরীর ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুনুর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে প্রার্থী তারেক সোলায়মান সেলিম মারা যাওয়ায় সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোট স্থগিত আছে।

ভোটকেন্দ্রে নেই বিএনপির এজেন্ট, ভোটারও কম

নগরীর আন্দরকিল্লা, পশ্চিম বাকলিয়া, এনায়েতবাজার, জামালখান, ফিরিঙ্গিবাজার, পাহাড়তলী ওয়ার্ডের অন্তঃত ২০টি কেন্দ্র ঘুরে শুধুমাত্র একটি কেন্দ্রের একটি বুথে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের একজন এজেন্টকে পাওয়া গেছে। বিএনপির অভিযোগ— আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট ঢুকতে দেননি। তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দাবি, তারা ধানের শীষের এজেন্টকে কেন্দ্রে পাননি।

১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ইউসেপ টেকনিক্যাল স্কুল কেন্দ্রে একটি বুথে কোহিনুর বেগম নামে এক নারীকে পাওয়া যায়, যিনি নিজেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট দাবি করেছেন। তবে তার গলায় কোনো কার্ড দেখা যায়নি। কোহিনূর সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি নির্বিঘ্নে ঢুকেছি। আমাকে কেউ বাধা দেয়নি।’ তবে তাকে দেখা গেছে রেজাউল করিম চৌধুরী এজেন্টের সঙ্গে খোশগল্প করতে।

প্রিজাইডিং অফিসার মনিরুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৫৫৪ জন। সাড়ে ৫ ঘণ্টায় সেখানে ভোট পড়েছে ২০ শতাংশ।

আরও পড়ুন-

নগরীর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডে মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি উচ্চ বিদ্যালয় ও কদমমোবারক এম ওয়াই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায়নি বিএনপির কোনো এজেন্ট। এসব কেন্দ্রে সকালের দিকে কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সুরজিৎ বড়ুয়া বলেন, ‘শীতকাল হওয়ায় সকালে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। তবে সকাল ১০টার পর থেকে বেড়ে যায়। ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।’

কেন্দ্র দু’টির বাইরে-ভেতরে গলায় রেজাউল করিম চৌধুরীর কার্ড ঝোলানো অবস্থায় বিভিন্ন বয়সী লোকজনকে ঘুরতে দেখা গেছে। এমনকি বুথের ভেতরেও ঢুকতে দেখা গেছে তাদের।

বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত পশ্চিম বাকলিয়া বিএড কলেজে তিনটি কেন্দ্র, বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ধানের শীষের এজেন্ট দেখা যায়নি। শাহাদাত হোসেন বিএড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে জড়ো হন যুবক বয়সী কয়েকজন দলটির কর্মী। কয়েকজন নারীও তার কাছে আসেন। এসময় নিজেদের এজেন্ট পরিচয় দিয়ে তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে শাহাদাতের সামনেই বাকবিতণ্ডায় জড়ান বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে সংঘাতের উপক্রম হলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

বিএড কলেজের একাডেমিক ভবন-১ কেন্দ্রে ৩৪৭৯ ভোট আছে। ওই কেন্দ্রে ভোট শুরুর পর একঘণ্টায় ভোট পড়ে মাত্র ২৩টি। প্রিজাইডিং অফিসার হাবিবুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি একটু কম আছে।’

জামালখান ওয়ার্ডের সরকারি ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুল, এনায়েত বাজার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের এজেন্ট দেখা গেলেও দেখা মেলেনি বিএনপির প্রার্থীদের এজেন্ট। বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী এম এ মালেকের অভিযোগ, কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে সংঘাত

নগরীর যে ৩৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোট হচ্ছে, এর প্রতিটিতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিতের বাইরে দলটির এক বা একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন। নির্বাচনের আগে থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল দল সমর্থিত ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনুসারীরা সংঘাতে জড়াবেন। ভোটের সকাল থেকে সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।

নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল। সমর্থন না পেয়ে ‘বিদ্রাহী প্রার্থী’ হয়েছেন আগের কাউন্সিলর এফ কবির আহমেদ চৌধুরী মানিক। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম সমর্থন না পেয়ে প্রার্থিতা থেকে বিরত থাকলেও বেলালকে সমর্থন দেননি। ওই ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী মো. শাহআলম।

বুধবার সকাল থেকে নগরীর লালখান বাজারের শহীদনগর উচ্চ বিদ্যালয়, আমবাগান, দামপাড়া পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দফায় দফায় ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২১ জন।

পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ইউসেপ টেকনিক্যাল স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী ও ‘বিদ্রোহী’ মাহমুদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে প্রাণ গেছে মো. আলাউদ্দিন নামে ২৪ বছরের এক তরুণের। তারা থাকেন ওই ওয়ার্ডের ঝাউতলা ছিন্নমূল কলোনি বস্তির ভাড়াঘরে।

আলাউদ্দিনের স্বজনদের আহাজারি

আলাউদ্দিনের ভাই মো. জসিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার ভাই রাজমিস্ত্রির জোগালির কাজ করে। সকালে নাস্তা খাওয়ার জন্য দোকানে যাচ্ছিল। আমিও যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ওয়াসিমের লোকজন গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে আসতে থাকে। আমি দৌড়ে চলে আসি। আমার ভাই আসতে পারেনি। তাকে ধরে গুলি করে দেয় ওয়াসিমের সন্ত্রাসীরা।’

জসিমের দাবি, তার ভাই কোনো কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থক ছিল না, রাজনীতিও করত না। তবে জসিম ও তার বোন জাহানারা বেগমসহ ওই বস্তির অধিকাংশ লোকজনকে ওয়াসিমের বিরুদ্ধে এবং মাহমুদুরের পক্ষে কথা বলতে দেখা গেছে।

নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডে জেএম সেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সালাউদ্দিন ও বিদ্রোহী প্রার্থী হাসান মুরাদ বিপ্লবের অনুসারীদের পাল্টপাল্টি স্লোগানের একপর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় জড়াতে দেখা যায়। পরে পুলিশ গিয়ে উভয়পক্ষকে ধাওয়া দেয়।

নগরীর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নুরুল আবছার মিয়া ও ‘বিদ্রোহী’ জহুরুল আলম জসিমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সাগর (১৮) নামে এক তরুণ গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম। এ ঘটনার পর ওই ওয়ার্ডের বিশ্বকলোনি এলাকায় রাস্তায় টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করেন উভয় প্রার্থীর সমর্থকরা।

নগরীর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি উচ্চ বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী জহরলাল হাজারী ও ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ নোমান লিটনের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। নগরীর জামালখান ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী আবু মো. মহসীনের ওপর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী শৈবাল দাশ সুমনের সমর্থকরা হামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পাথরঘাটা ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল হোসেন বালিকে নির্বাচনি সহিংসতা তৈরির অভিযোগে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করেছেন। ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পুলক খাস্তগীরের কর্মীদের ওপর হামলা করেছেন। ভোটারদের ওপর হামলার পর ইভিএম ভাঙচুর করেছেন।

মেয়র প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের ওপর পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ করা হয়েছে।

শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ভোর ৬টা থেকে আমি নির্বাচনি কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ শুরু করি। আমাদের নেতাকর্মীরা যেন বের হতে না পারেন, সেজন্য তাদের বাসার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। অনেক এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। আমাদের নারী নেতাকর্মীদের গায়ে পর্যন্ত হাত তুলেছে তারা। আমাদের এজেন্ট যারা কেন্দ্রে গেছে তাদের মারধর করেছে, লাঞ্ছিত করেছে। কোনো কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের তারা বসতে দেয়নি।’

অন্যদিকে রেজাউল করিমের পক্ষে তার প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল অভিযোগ করেন, সকালে লালখান বাজার ওয়ার্ডে দামপাড়া পুলিশ লাইন স্কুলের সামনে বিএনপির সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের ছেলে তানভীর ফয়সল ইভানের ওপর হামলা করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। পুলিশ ধাওয়া দিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়া ও শাহাদাতের নামে স্লোগান দিতে দিতে সেখান থেকে চলে যান।

চান্দগাঁও থানার সানশাইন স্কুল কেন্দ্রে বিএনপির হামলায় আওয়ামী গের চার জন কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে ওয়াছিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান লিটনের অনুসারীরা আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে। পাথরঘাটা ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল হোসেন বালির অনুসারীরা আওয়ামী লীগের প্রার্থী পুলক খাস্তগীরের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে।

ভোটকেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপি ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন বর্জন করেছেন ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাতপাখার প্রার্থী মোহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দীন হাতি প্রতীক নিয়ে বিএনপি সমর্থিত কমলালেবু প্রতীকের প্রার্থী এম মনজুর আলমকে পরাজিত করেছিলেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করে গেছেন জাতীয় পার্টির মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপির মীর মো. নাছির উদ্দিন, আওয়ামী লীগের এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, বিএনপির এম মনজুর আলম এবং আওয়ামী লীগের আ জ ম নাছির উদ্দীন। এদের মধ্যে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন। পরপর তিন দফা নির্বাচিত হয়ে তিনি ১৭ বছর দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন চসিকের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

কাউন্সিলর প্রার্থী চট্টগ্রাম সিটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন চসিক নির্বাচন বিএনপির এজেন্ট ভোট ভোটার উপস্থিতি মেয়র প্রার্থী সংঘাত

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর