ভ্যাকসিন কেন্দ্র পরিবর্তন: ‘লকডাউন’ বাড়লে সিদ্ধান্ত
১৯ এপ্রিল ২০২১ ১০:০০
ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, কেন্দ্র পরিবর্তন করে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার কোনো সুযোগ এখনো নেই। এখনই কেন্দ্র পরিবর্তন করাটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। এক্ষেত্রে সফটওয়্যারের ওপরে চাপ পড়তে পারে। যেহেতু ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে তাই এ বিষয়ে এখনই কিছু করা হচ্ছে না। তবে যদি ‘লকডাউন’ বেশি লম্বা হয়ে যায় তখন এ নিয়ে কাজ করা হবে।
রোববার (১৮ এপ্রিল) সারাবাংলার সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রিপার্ডনেস অ্যান্ড ডিপ্লয়মেন্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফ্লোরা বলেন, এখন পর্যন্ত যে পরিকল্পনা তাতে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে প্রথম ডোজের জন্য নিবন্ধিত কেন্দ্রেই দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। যদি এখনই কেন্দ্র পরিবর্তন করার বিষয়ে ভাবা হয় তাহলে সিস্টেমে চাপ পড়ার সম্ভাবনা আছে। প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত বিরতি দেওয়া যায়। এটা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, যদি দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও বাড়ানো হয় তবে ভ্যাকসিন কেন্দ্র পরিবর্তন নিয়ে কাজ শুরু হবে। তখন সেভাবে পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ১৪ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের আয়োজিত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, বর্তমানে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এতে করে সিস্টেমে চাপ পড়বে। প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। তাই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে শঙ্কিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে জাতীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয় ৮ এপ্রিল থেকে। কিন্তু দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের কারণে অনেকেই ঢাকায় এসে বা ঢাকা থেকে বাইরে গিয়ে আটকা পড়েছেন। তারা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কেন্দ্র পরিবর্তন করতে পারবে কিনা ও দেরিতে গেলে আগের কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবে কি না তা নিয়ে জনগণের মাঝে আছে নানা রকমের প্রশ্ন। সেটির দিকে আলোকপাত করেই মূলত সেব্রিনা ফ্লোরা এ কথা বলেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, যার কাছে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার এসএমএস যাবে, তারা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে কার্ড দেখিয়ে ভ্যাকসিন নেবেন। কিন্তু অনেকেই চলে আসছেন এসএমএস ছাড়া, এতে করে একটু সমস্যা হচ্ছে। তাই কেন্দ্র থেকে এসএমএস পাওয়ার পরে ভ্যাকসিন নিতে আসার অনুরোধ করেন তিনি।
দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য কেন্দ্র পরিবর্তন করার বিষয়টি সিস্টেমে কোনোভাবেই আপডেট হবে না জানিয়ে অধ্যাপক ডা. মিজান বলেন, প্রথম ডোজ যেখান থেকে নেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ সেখান থেকেই নিতে হবে। ৫৬ দিন পরেও ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে। তাই অপেক্ষা করতে হবে। যারা চাকরির সুবাদে বদলি হয়েছেন তাদের নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। যেখানে তিনি বদলি হয়েছেন সেখানে কীভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া যায় তা নিয়ে কাজ চলছে। তবে এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার এসএমএস ছাড়াই চলে আসছেন। এতে কিছু সমস্যা হচ্ছে।
সারাবাংলা/এসবি/একেএম