‘করোনায় শ্রমিকরা তাদের উৎপাদনশীল অবদানের মূল্য ও স্বীকৃতি পায়নি’
১ মে ২০২১ ১৮:১৬
ঢাকা: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, করোনা দুর্যোগের মধ্যেও দেশের শ্রমিক শ্রেণি মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। কিন্তু সরকার ও মালিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা দেয়নি। মহামারিতে উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য শ্রমিকেরা কোন প্রণোদনা বা ঝুঁকি ভাতা পায়নি। রাষ্ট্র বা সরকার এজন্য তাদের কোনো সম্মান বা মর্যাদাও দেয়নি। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে। গার্মেন্টসসহ অধিকাংশ শিল্প কারখানায় এখনও শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি ও উৎসব ভাতা দেওয়া হয়নি। শনিবার (১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, ‘উৎপাদন বাড়ানোর বাইরে সরকার ও মালিকদের কাছে শ্রমিক-কর্মচারীদের বিশেষ কোনো দাম নেই। ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমজীবী মানুষ আরও গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। শ্রমিকদের বাঁচার জন্য ন্যায্য আন্দোলনকে নানাভাবে দমন করা হচ্ছে। রোজার মাসে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বর্বরোচিতভাবে শ্রমিকদের হত্যা করা হয়েছে। শ্রমিকদের দাবি দাওয়ার ন্যায্য আন্দোলনের বিরুদ্ধেও পুলিশ ও মাস্তান লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে সব খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘কাগজে কলমে সরকার ও মালিকেরা শ্রমিকদের কিছু কিছু অধিকার স্বীকার করে নিলেও বাস্তবে তার কার্যকর প্রয়োগ নেই। এখনও শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী নেই, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নেই। শ্রমিকেরা এখনও করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের বাইরে। শ্রমিকের জীবন ও নিরাপত্তা এখনও সরকার ও রাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের মধ্যে নেই।’
তিনি বলেন, ‘এই অবস্থার বদল ঘটাতে হলে শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষদের রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হতে হবে এবং সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, সংহতি সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি ইফতেখার আহমেদ বাবু, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন অর রশীদ, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কার্যকরি সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, বিপ্লবী পাদুকা শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান, বিপ্লবী ছাত্র সংহতির বিপ্লবী হোসেন খান, খেতমজুর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম