Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গণপরিবহন চলতে না দিলে ঈদের দিন অবস্থান কর্মসূচি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৮ মে ২০২১ ১২:১৯

ঢাকা: স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচলের অনুমতিসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। দাবি বাস্তবায়ন না হলে ঈদের নামাজ শেষে সারাদেশের বাস ও ট্রাক টার্মিনালে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঈদ পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

শনিবার (৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অংশ নেয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদশে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান এমপি।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলন গণপরিবহন সংশ্লিষ্টরা পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার পরিবহনসহ সব গণপরিবহণ চলাচলের সুযোগ দিতে হবে; পরিবহন খাতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিতে হবে, ঈদের পূর্বে ও পরে শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএস’র চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে; পরিবহনখাতে মালিকদের সংশ্লিষ্ট ঋণ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করতে হবে এবং ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে ক্লাসিফাইড ঋণগুলো আনক্লাসিফাইড করতে হবে এবং লকডাউনে বন্ধ থাকার সময় গাড়ির ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিট ফি আয় কর, ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের ফি, কর ও জরিমানা মওকুফ করতে হবে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে একই বিধিনিষেধ অব্যাহত রাখা হয়। যা পরবর্তীতে ২১ এপ্রিল এবং এর পর ২৮ এপ্রিল সেখান থেকে ৫ মে। এবার ৬ মে থেকে আরও দশ দিন বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। যদিও এরমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট- শপিং মল চালু রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার।

বিজ্ঞাপন

৫ মে থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ শুরুর দিন থেকে বন্ধ ছিল গণপরিবহন। তবে নগর-মহানগর ও জেলার স্থানীয় রুটে সীমিত পরিসরে বাস চলাচল শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (৬ মে) থেকে। তবে এক জেলার পরিবহন অন্য জেলায় না যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত বছরেও কয়েক দফা গণপরিবহন বন্ধ করে পরে আবার সীমিত আকারে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।

পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ এবার গণপরিবহন বন্ধের পর সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তার কথা বলা হলেও তা শ্রমিকদের কাছে খুব একটা পৌঁছায়নি। আবার মালিকরাও এ সময়টিতে তাদের তেমন কোনো সহায়তা করেনি বলেই অভিযোগ চালক ও শ্রমিকদের অনেকে।

এদিকে গণপরিবহন চালুসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালে বিক্ষোভ মিছিল করে পরিবহন শ্রমিকরা। গত সপ্তাহে রাজধানীর সায়েদাবাদ, ফুলবাড়িয়া, গাবতলী, মহাখালী বাস টার্মিনালে জড়ো হতে থাকেন পরিবহন শ্রমিকরা।

আরও পড়ুন
খুশি নন বাস মালিকরা, চান দূরপাল্লার অনুমতি
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি: একে অন্যকে দুষছে যাত্রী-শ্রমিক
‘মার্কেট-শপিং মল খুলতে পারলে গণপরিবহন বন্ধ কেন’
ঈদেও চলবে না দূরপাল্লার গণপরিবহন
সরকার অনুমতি না দিলেও চলবে গণপরিবহন, ঘোষণা পরিবহন মালিক গ্রুপের

 

 

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

করোনা কোভিড-১৯ গণপরিবহন নভেল করোনাভাইরাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর