Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বুয়েট সহপাঠীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় দায়মুক্তি নেই কারও

রাজনীন ফারজানা, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর
২৮ জুলাই ২০২১ ০০:৫৫

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ। সেখানকারই কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের ১৯তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী তার তিন বন্ধুর সঙ্গে পরিকল্পনা করে যৌন হয়রানি করেছেন সহপাঠী নারী শিক্ষার্থীকে। তিন বন্ধুর প্ররোচনা ও উসকানিতে সেই সহপাঠীর ইনবক্সে যৌন হয়রানিমূলক মেসেজ দিয়েছেন, পাঠিয়েছেন আপত্তিকর ছবি-ভিডিও। তাদেরই আরেক সহপাঠী এই গোটা ঘটনাটি প্রকাশ করে দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাতে ওই নারী শিক্ষার্থীকে পাঠানো হয়রানিমূলক সব মেসেজ, ছবি, ভিডিও’র স্ক্রিনশটগুলোও ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। এ ঘটনায় হয়রানি করা ওই চার সহপাঠীকে বয়কট করেছেন সিএসই-১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এরই মধ্যে এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনলাইন-অফলাইনে পরিণত হয়েছে টক অব দ্য টাউনে। হয়রানির ঘটনায় জড়িত চার শিক্ষার্থীর মানসিক বিকৃতি নিয়ে সমালোচনা করছেন কেউ কেউ। জানা যায়, এই চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিন জন উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ালেখা করেছেন নটরডেম কলেজে, একজন ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সানিডেলে। এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীদের নৈতিক অবস্থান এতটা নিচু কেন— তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। কেউ কেউ বুয়েটের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায় নিয়েও কথা বলছেন।

বিজ্ঞাপন

বুয়েটের সিএসই-১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাফিজুল হক চৌধুরীর এক ফেসবুক পোস্টর সূত্র ধরেই জারিফ হোসাইন ও তার তিন বন্ধুর বিরুদ্ধ তাদেরই এক নারী সহপাঠীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে আসে। জানা যায়, অভিযুক্ত জারিফ হোসাইন ভুক্তভোগী নারী সহপাঠীকে পছন্দ করতেন। তবে তিনি জারিফের আহ্বানে সাড়া না দিলে তিনি এক পর্যায়ে তাকে যৌন হয়রানি করতে শুরু করেন। জারিফ ও তার তিন বন্ধু— সালমান সায়ীদ, জারিফ ইকরাম ও জায়ীদ মনোয়ার চৌধুরী একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ খোলেন। সেখান থেকেই পরিকল্পনা করে মেয়েটিকে যৌন হয়রানি করা হয়।

সিএসই-১৯ ব্যাচের একজন শ্রেণি প্রতিনিধি ঘটনাটি বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে অবহিত করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বুয়েট। তবে তদন্ত কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও অন্যান্য সদস্যের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করছে না বুয়েট প্রশাসন।

আরও পড়ুন- সহপাঠীকে যৌন হয়রানি: বুয়েটের তদন্ত কমিটি

এ ঘটনায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন— এরকম ‘ভালো ছাত্র’রাও কেন একজন নারী সহপাঠীকে কেবলই শরীরসর্বস্ব যৌনবস্তু ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারেন না, মেয়ে ‘পটানো’র জন্য নিজের পরিচয়সহ অর্থ খরচেও পিছুপা হন না? প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন আধুনিক প্রজন্মের তরুণরা কেন কারও অনুমতি ছাড়াই কাউকে ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও পাঠাচ্ছেন কিংবা মেসেজ বক্সে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা অবলীলায় বলে যাচ্ছেন— এসব প্রশ্নও ঘুরেফিরে আসছে অনলাইনে-অফলাইনে।

এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক, সাহিত্যিক ও বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী আনিসুল হক বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে সমাজ এগোয়নি। ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের মনোবিকার প্রকাশ পাচ্ছে। একটি ফেসবুক আইডির আড়ালে মানুষ তার মনের অন্ধকার ছড়িয়ে দিতে পারছে সহজেই। যেসব কথা হয়তো আমরা কারও মুখের ওপর বলতে পারতাম না, সেগুলো অবলীলায় ফেসবুকে বলে ফেলছি শ্রদ্ধার-ভক্তির চিন্তা না করেই। তাই বলা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক নতুন অন্ধকার সৃষ্টি করেছে, যার আড়ালে অনেকেই অনৈতিক ও অযাচিত আচরণ করছেন। এর দায় একক কোনো প্রতিষ্ঠানের না। সামাজিক পরিস্থিতি, পরিবেশ, শিক্ষা, পরিবার— সবকিছু মিলিয়েই এমন বিকৃত মানসিকতার মানুষ তৈরি হচ্ছে।’

পণ্যায়নের এই যুগে তো প্রায় শতভাগ বিজ্ঞাপনেই নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। এর বাইরেও সাহিত্য থেকে শুরু করে নাটক-চলচ্চিত্রেও প্রায়ই নারীর উপস্থিতি পণ্য হিসেবেই। নারী অর্থই তার শারীরী উপস্থিতি, নারী মানেই যেন ভোগের সামগ্রী। দেখা গেছে, পাড়ার গুণ্ডা বা যেকোনো পুরুষ চরিত্রের জন্যই মেয়েদের ‘স্টক’ করা যেন অনুমোদিত। বলা হয়ে থাকে, নারীর ‘না’ বলার মাঝেই লুকিয়ে থাকে ‘হ্যাঁ’। নারীবিদ্বেষী এমন ধ্যান-ধারণা ভেঙে দিতে নারী অধিকারকর্মী থেকে শুরু করে সচেতন পুরুষরাও কাজ করছেন অনেক দিন ধরেই। নারীকে নারী হিসেবে না দেখে মানুষ হিসেবে দেখার আহ্বান জানানো হচ্ছে। নাটক-চলচ্চিত্রের ভাষা থেকে আপত্তিকর পুরুষতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা দূর করার আবেদন জানানো হচ্ছে। আবার একটি প্রজন্ম বাংলা নাটক-সিনেমা থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। তারা অনেকটাই হলিউডমুখী। তারা ইংরেজি নাটক-সিনেমা দেখে, গান শোনে, সংস্কৃতি অনুসরণ করে। সেক্ষেত্রে তাদের মানসিক গঠন আসলে কীভাবে এমন হলো?

জনপ্রিয় লেখক আনিসুল হক বলেন, ‘একসময়ে আমরা গল্প, উপন্যাস, নাটক, চলচ্চিত্রসহ বিনোদন মিডিয়ায় সঠিক বার্তা দিতে পারিনি। কাউকে শারীরিক আকৃতির জন্য লজ্জা দেওয়া, বাচ্চা নেওয়া-না নেওয়া ইত্যাদি প্রশ্ন করা যে ঠিক নয়— সেটি আমরা এখন অনুধাবন করছি ও সচেতনভাবে পরিহার করছি। তবে একজন মানুষের মানসিকতা গঠনে বিনোদন জগতের পাশাপাশি পরিবার, সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পারিপার্শ্বিকতা— সবই ভূমিকা রাখে। তাই সব সবাইকেই একযোগে কাজ করতে হবে। যেহেতু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা নতুন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তাই মিডয়াসহ সবাইকেই আসলে নতুন করে ভাবতে হবে কীভাবে এই তরুণদের মানসিকতা বদলানো যায়।’

নারীদের ‘যৌনসর্বস্ব বস্তু’ হিসেবে দেখার প্রবণতার পেছনে সার্বিক পরিস্থিতির দায় দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সানজীদা আখতারও। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির পেছনে একটি নির্দিষ্ট এজেন্ট দায়ী নয়। বিনোদন মাধ্যমের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবার, সমাজ সবই যুক্ত। বুয়েটের যে ছেলেগুলো তাদের নারী সহপাঠিকে হয়রানি করল, অবমাননা করল— তার দায়ও কিন্তু একক কোনো প্রতিষ্ঠানের নয়। চারটি ছেলের আলোচনার মধ্যে উঠে এসেছে, তাদের পুরুষতান্ত্রিক মনস্তত্ব কীভাবে কাজ করছে, তারা নিজেদের পুরুষ সত্ত্বাকে কীভাবে দেখছে। দেখা যাচ্ছে নারীর কাছে নিজেদের যৌন প্রবৃত্তি উপস্থাপনকে তারা হিরোইজম হিসেবে দেখছে। এভাবে তাদের মানসিক গঠন ও যৌনতার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিও বোঝা যাচ্ছে যা যথেষ্ট অ্যালার্মিং। আর এর ফলে শুধু মেয়েরাই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুরুষ নিজেও। তারাও একটি সুস্থ সুন্দর জীবনযাপন করতে পারছে না।

তিনি বলেন, সমাজের সব ক্ষেত্রেই নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে পুরুষের জন্য এক ধরনের সফলতা হিসেবে দেখা হয়। ভালো ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা আর্থসামাজিকভাবে কিছুটা ভালো অবস্থানে বেড়ে ওঠা ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে আমরা সেটি আশা করি না। তাদের কাছে আরেকটু প্রগতিশীলতা ও শ্রদ্ধামূলক মনোভাব আশা করি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এই ক’জন ছাত্রের আচরণে সেটি অনুপস্থিত। নারীর প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি একইরকম। তাই তারা অবলীলায় কোনো অপরাধবোধ ছাড়াই মেয়ে সহপাঠীকে হেনস্থা করছে। তাদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলা প্রতিটি সামাজিক ফ্যাক্টরেরই দায় আছে এর পেছনে।

এতকিছুর মধ্যেও সহপাঠীকে যৌন হয়রানি করার ঘটনায় তাদেরই ব্যাচের বাকি শিক্ষার্থীরা যেভাবে তাৎক্ষণিকভাবে সোচ্চার হয়েছেন এবং হয়রানির শিকার মেয়েটির নাম প্রকাশ না করেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন— এ বিষয়টিকে ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন ড. সানজীদা আখতার। তিনি বলেন, যে চারটি ছেলে হেনস্থার সঙ্গে জড়িত তার ব্যাচের সহপাঠীরাই তাদের বয়কটই করেছে। শুধু তাই নয়, তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারের দাবিও তারা জানিয়েছে। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, একই ব্যাচের চারটি ছেলের হয়রানিমূলক মানসিকতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে কিছু শুদ্ধ চিন্তার ছেলেমেয়েও আছে যারা ন্যায় ও অন্যায়ের পার্থক্য করতে জানে।

তরুণদের মানসিকতার ক্ষেত্রে শিশুকাল থেকেই বিকাশের প্রসঙ্গ টেনে শিশু বিকাশ বিশেষজ্ঞ আঞ্জুমান পারভিন অভি বলেন, ‘বুয়েটের ছেলেগুলোর আচরণ একধরনের মনোবিকৃতির প্রকাশ, যা একদিনে তৈরি হয়নি। এর জন্য বড় দায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার। পরিবার যা পারে না, সেটি শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শেখানো যায়। কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষা একমুখী। এর উদ্দেশ্য ফলাফল ও টাকা উপার্জন। এখানে মানসিক বিকাশকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তাই তরুণদের মধ্যে এমন বিকৃত চিন্তাভাবনার প্রকাশ দেখা দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আগে তাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা হতো। এখন বলতে গেলে কিছুই হয় না। ছেলেমেয়েরা শুধুই ফলাফল নির্ভর পড়ালেখায় ব্যস্ত থাকায় তাদের মনোজাগতিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে তারা মেয়েদের নোংরা মেসেজ পাঠানোকে মজা হিসেবে নিচ্ছে। এটি যে অপরাধ, সেটিও বুঝতে চাচ্ছে না। দেখা গেছে আগে যেসব হয়রানি মৌখিক টিজিং আকারে ছিল, সেগুলোই এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোংরা মেসেজ বা ছবি পাঠানোতে রূপ নিয়েছে। এটি বড় ধরনের সামাজিক মনোবিকৃতির ফলাফল।’ সুস্থ চিন্তাভাবনা করতে না পারার ফলেই এমন হচ্ছে বলে মত দেন তিনি।

এই সামাজিক মনোবিকৃতির পেছনে মধ্যবিত্ত সমাজের পদস্খলনের প্রভাব আছে বলে মনে করেন আঞ্জুমান পারভিন অভি। তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত শ্রেণিই দেখা যায় সমাজকে নেতৃত্ব দেয়। কিন্তু আজকের মধ্যবিত্তের মধ্যে মানসিক গঠন ও সুন্দর জীবনের চেয়ে আর্থিক সফলতা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে তরুণ প্রজন্মের ওপরও। এবং সহসা এর থেকে মুক্তি পাওয়ার পথও নেই। কারণ দেখা গেছে, ভালো ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়া এসব ছেলেরাই একসময় সমাজ ও রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেবে। এরা আজ যেমন নারী সহপাঠীকে সম্মান করছে না, ভবিষ্যতে নারী সহকর্মীকেও সম্মান করবে না বা হয়রানি করবে। আবার তাদের সন্তানদের মধ্যেও প্রজন্মান্তরে এমন নারীবিদ্বেষী মানসিকতা ছড়িয়ে যাবে।’

এর থেকে মুক্তির জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দেন এই শিশু বিকাশ বিশেষজ্ঞ। ফলাফল ও তত্ত্বনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতা, আচরণ, দর্শন ও মনোজাগতিক বিষয় যুক্ত করতে বলেন তিনি, যেন একটি শিশু একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।

আঞ্জুমান পারভিন অভি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় স্কুল মানে কিন্তু শুধু পাঠশালা নয়। সেখানে নিজের কাজ নিজে করা থেকে শুরু করে জেন্ডার, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, মানবিক নানা শিক্ষা দেওয়া হয়। শিশুদের ট্রাফিক আইন মানা থেকে শুরু করে সমাজে কীভাবে চলতে-ফিরতে হবে, তাও শেখানো হয়। তাই বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ মনোভাব গড়তে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস বাড়াতে হবে ও প্রয়োগ শুরু করতে হবে। শিক্ষাকে চার দেয়ালের বাইরে বের করে এনে সত্যিকারের সুন্দর ও মানবিক চিন্তার মানুষ গড়ার মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

সারাবাংলা/আরএফ/টিআর

নারীবিদ্বেষ নারীর পণ্যায়ন বুয়েট শিক্ষা ব্যবস্থা সহপাঠীকে যৌন হয়রানি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর