Monday 07 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনায় ‘আটকে গেছে’ ডা. সাবরিনার জালিয়াতির বিচার

আরিফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩০ জুলাই ২০২১ ১৬:০৭ | আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২১ ১৬:৩৬
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডা. সাবরিনা শারমিন, ফাইল ছবি

ঢাকা: করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার নামে জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণা, জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা ও আরিফুল চৌধুরীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় প্রায় দেড় বছরেরও শেষ হয়নি বিচার। তবে রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খুব দ্রুত বিচারকার্য শেষ করতে পারবেন বিচারক।

বর্তমানে মামলাটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। সর্বশেষ গত ৪ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য থাকলেও করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে তা আটকে গেছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান সারাবাংলাকে জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হওয়ার পর পুনরায় আদালত মামলাটির সাক্ষ্যর জন্য তারিখ ধার্য করেছিলেন। কিন্তু আবার করোনার প্রভাব বেশি হওয়ায় আদালতের কার্যক্রম সীমিত হয়ে গেছে। এজন্য তারিখ ঘোষণার পরেও সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আদালত নিয়মিত হলে পুনরায় আবার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করবেন।’ পরিবেশ স্বাভাবিক হলে আদালত খুব দ্রুত রায় ঘোষণা করতে পারবে বলে আশা করেন এ আইনজীবী।

সাবরিনার আইনজীবী প্রণব কান্তি ভৌমিক জানান, মামলাটিতে এখন পর্যন্ত যে ১৭ জন সাক্ষ‌্য দিয়েছে, তারা কেউই সাবরিনার নাম বলেননি। সাবরিনা এ মামলার মূল আসামি না। আসামিদের উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমি ১৭ জনের সাক্ষ্য নিয়েছি, তারা কেউ বলেননি সাবরিনা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। মামলার রায় ঘোষণা হলে সাবরিনা খালাস পাবে বলেও তিনি আশা করেন।

২০২০ সালের করোনা সংক্রমণের শুরুতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে কোনোরকম পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় জেকেজি হেলথ কেয়ার। এর বেশির ভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে।

এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। বর্তমানে সব আসামিই কারাগারে রয়েছেন।

চার্জশিটে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দের কথা বলা হয়েছে।

২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এরপর তাদের কয়েকদফা রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

এছাড়া তথ্য গোপন ও জালিয়াতির মাধ্যমে দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রয়েছে।

জেকেজি হেলথকেয়ার নিয়ে সৈকত ভৌমিকের ধারাবাহিক প্রতিবেদন—

সারাবাংলা/এআই/এমও

ডা. সাবরিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর